জাতিসংঘের একটি তদন্তকারী প্যানেল ইথিওপিয়া সরকারকে তার ভূখণ্ডে সংঘাত-সম্পর্কিত অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন তার প্রথম প্রতিবেদন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করেছে।
ইথিওপিয়ার মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক কমিশন রিপোর্ট করেছে যে ইথোপিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক এবং শরণার্থী আইনের লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে এবং দায়মুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মনে হচ্ছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান কারি বেটি মুরুঙ্গি বলেছেন যে ওরোমিয়া অঞ্চলে রিপোর্ট করা ঘটনা সহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংসতার কারণে প্যানেল উদ্বিগ্ন।এতে বিদ্রোহী ওরোমো লিবারেশন আর্মি দ্বারা আনুমানিক ২৫০ জনের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ রয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই আমহারা জাতিগোষ্ঠীর সদস্য।
মুরুঙ্গি বলেন, "বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের সহিংসতা, তা ঘৃণাত্মক বক্তৃতা বা জাতিগত বা লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য বা যে কারণেই হোক না কেন তা হচ্ছে প্রাথমিক সতর্কতা এবং আরও নৃশংস অপরাধের ভবিষ্যৎ বাণী। এগুলি এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা, সরবরাহ এবং পরিষেবাগুলির অবরোধ সহ দীর্ঘায়িত মানবিক সংকট ইথিওপিয়ার বেসামরিক জনসংখ্যা এবং এই অঞ্চলের জনগণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।"
কমিশনটি গত ডিসেম্বরে , ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ইথিওপিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর একটি বিশেষ অধিবেশনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়েই টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট এর আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় টিগ্রায়তে সরকারের সামরিক আক্রমণ শুরু হয়েছিল।
যে প্রস্তাবের কারণে কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ইথিওপিয়া তাকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জেনেভায় জাতিসংঘে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত জেনেবে কেবেদে কোরচো অবশ্য কাউন্সিলকে বলেছেন যে তার সরকার চলমান আপত্তি সত্ত্বেও কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, আলোচনা শুরু হয়েছে।