সোমবার প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যামেরুনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্রমেই আরও নির্মম হয়ে উঠছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলে যে, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হত্যা সংঘটিত করেছে, ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, এবং জানুয়ারি থেকে অন্তত ৮০টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংরেজি ভাষী অধ্যূষিত দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এই বছর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছে, ছয়জনকে আহত করেছে, এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যান্য আরও গুরুতর ঘটনা সংঘটিত করেছে।
এছাড়াও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অন্তত দুইটি বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে এবং মানুষজনকে অপহরণ করেছে, যার মধ্যে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর একটি হল আম্বাজোনিয়া ডিফেন্স ফোর্সেস বা এডিএফ। এডিএফ এর সহকারী প্রতিরক্ষা প্রধান, কাপো ড্যানিয়েল বলেন যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য শুধুমাত্র যোদ্ধাদের দায়ী করা উচিৎ নয়।
ড্যানিয়েল বলেন, “অপরাধী চক্রগুলোএই যুদ্ধের বিশৃঙ্খলার সর্বোচ্চ ফায়দা নিয়ে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ সংঘটিত করেছে।” তিনি আরও বলেন, “যদিও সেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যাতে আম্বাজোনিয়া বাহিনী জড়িত ছিল, তবে সেগুলো মূলত আমাদের সংগ্রামের অন্তর্ভুক্ত সেসব উপদলগুলোর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণে হয়েছে, যেগুলো তাদের বাহিনীর জন্য দায় স্বীকার করেনা এবং সবশেষে ক্যামেরুনই এই বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী।”
এইচআরডব্লিউ জানায় যে, ২০১৭ সালে সংঘাত আরম্ভ হওয়ার পর থেকে, সরকারি বাহিনীও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে বাড়িঘর ও গ্রামে অগ্নিসংযোগ, অত্যাচার, ধর্ষণ, অনাচার এবং নির্জন কারাবাসের মত ঘটনা রয়েছে।
ক্যামেরুনের সরকার এমন দাবি অস্বীকার করেছে।