জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার বলেছে যে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচনের অচলাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করার জন্য আগামী সপ্তাহে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জাতিসংঘ নতুন আলোচনায় মধ্যস্থতা করবে।
জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় লিবিয়ার কর্মকর্তা স্টেফানি উইলিয়ামস টুইটে বলেছেন যে, "সংসদ স্পিকার আগুইলা সালেহ এবং হাই কাউন্সিল অফ স্টেটের প্রেসিডেন্ট খালেদ আল-মিশরি নির্বাচনের জন্য খসড়া সাংবিধানিক কাঠামো নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে জেনেভায় ২৮ ও ২৯শে জুন জাতিসংঘের অফিসে সাক্ষাতের জন্য আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন,"।
তিনি আরো বলেছেন, "গত সপ্তাহে কায়রোতে যৌথ কমিটির বৈঠকের পর অবশিষ্ট বিষয়ে ঐকমত্য খোঁজার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আমি দুই চেম্বারের প্রধানদের প্রশংসা করি।"
রাষ্ট্রপতি এবং সংসদীয় নির্বাচন, গত বছরের ডিসেম্বরে নির্ধারিত হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল , মূলত ২০২০ সালে শেষ বড় ধরনের সহিংসতা শেষ হওয়ার পরে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করার জন্য উদ্যোগ নেয়া।
কিন্তু দেশের পূর্ব ও পশ্চিমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের শক্তির কেন্দ্রভূমিগুলোতে মধ্যে ভোটের আইনি ভিত্তি নিয়ে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত প্রার্থীতা এবং গভীর মতবিরোধের কারণে ভোটটি কখনই অনুষ্ঠিত হয়নি।
একটি ভোটের জন্য সাংবিধানিক ভিত্তিতে সম্মত হওয়ার লক্ষ্যে ত্রিপোলি-কেন্দ্রিক কাউন্সিল এবং সালেহের পূর্বাঞ্চল-কেন্দ্রিক প্রতিনিধি পরিষদের (এইচওআর) মধ্যে এক সপ্তাহের আলোচনা, সোমবার কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
২০১৪ সালে নির্বাচিত এইচওআর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দ্বেইবাহের সরকারের স্থলাভিষিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার নিয়োগ করার পর থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা দূরের বলে মনে হচ্ছে, এই যুক্তিতে যে তার ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
মে মাসে একটি সশস্ত্র অচলাবস্থার মধ্যে ত্রিপোলিতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন আরও পূর্বে সির্তেতে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটি স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির নিজ শহর, ২০১১ সালে নেটো-সমর্থিত বিদ্রোহে তাঁর উৎখাতের কারণে দেশটিকে প্রায়শই সহিংস বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত করেছে।
এইচওআর সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী ফাথি বাশাঘা বুধবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠিতে বলেছেন যে তিনি "এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন।"
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ত্রিপোলিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বারবার সংঘর্ষ দেখা গেছে, যার ফলে পূর্ণ মাত্রার সংঘাত আবারও শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে।