কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, “আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।”
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, “জেলার ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায়, ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া, বন্যার কারণে ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাদরাসা ও একটি কলেজ বন্ধ রয়েছে।”
খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব, বন্যার্তদের দুর্ভোগ তীব্রতর করেছে। কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ জানান, “বন্যা কবলিত এলাকায় টিউবওয়েল স্থাপন ও পুরাতনগুলো মেরামতের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ জানান, “বন্যার পানিতে ১৫ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, ধান ও সবজি।”
বন্যা কবলিত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার ঝুংকার চর কমিউনিটি ক্লিনিকের, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মিজানুর রহমান বলেন, “মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা বা ভেলায় করে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসছে।”
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ বলেন, “দুটি ক্লিনিক বন্ধ এবং ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও, এই ১৮টি ক্লিনিকের কর্মীরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।”
জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, “পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।”