ইসরাইল সোমবার তাদের নাগরিকদের ইস্তাম্বুল এড়াতে বা যদি ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করে থাকে তবে দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ৩০ মে তুরস্ক ভ্রমণের বিরুদ্ধে যে পরামর্শ দেয়া হয়, তা আরও জোরদার করা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেশটি বলেছিল, ইরানিদের দ্বারা অবকাশযাপনকারী ইসরাইলিদের হত্যা বা অপহরণ করার হুমকি ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড বলেছেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি “বিশাল প্রচেষ্টা” সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে “ইসরাইলিদের জীবন রক্ষা করেছে ” এবং তিনি তুর্কি সরকারকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আর বিস্তারিত জানাননি। একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তুরস্ক ইরানের বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন “অপারেটিভ”কে গ্রেপ্তার করেছে।
তেহরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২২ মে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোর কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাইকে হত্যার জন্য তেহরান ইসরাইলকে দায়ী করে। মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি তাকে তার গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে।
ইসরাইল তাদের নীতি অনুসারে গুপ্তহত্যার অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। তারা খোদাইকে বিশ্বব্যাপী তাদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনাকারি বলে অভিযুক্ত করেছে।
তুরস্ক ইসরাইলিদের কাছে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এক দশকের বেশি টানাপড়েনের পর দেশ দুটি তাদের সম্পর্ক ভালো করছে।