ব্রিটিশ সাংবাদিক ডম ফিলিপস এবং ব্রাজিলের আদিবাসী বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেরার মৃতদেহ সোমবার উদ্ধার করা হয়। ফিলিপস-এর স্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জিওয়ান সংবাদ সংস্থা সোমবার এই সংবাদ প্রকাশ করে। নিহত দুই ব্যক্তি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে নিখোঁজ ছিলেন।
রবিবার ব্রাজিলের পুলিশ জানায় যে, এক সপ্তাহ আগে তাদের যেখানে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেখানকার এক নদীর পাশের খাঁড়িতে অনুসন্ধানী দল তাদের কিছু জিনিস খুঁজে পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে পেরেরার নাম সম্বলিত একটি স্বাস্থ্যসেবা পরিচয়পত্র, ফিলিপস-এর কিছু কাপড়চোপড়সহ একটি ব্যাকপ্যাক এবং দুইজনের বুট জুতা ছিল।
জিওয়ান জানায় যে, মরদেহ খুঁজে পাওয়ার খবর কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিল যে, তারা ৫ জুন পেরেরা এবং ফিলিপসকে ঐ নদী ধরে যেতে দেখেছিলেন। ফিলিপস একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, যিনি দ্য গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য লেখালেখি করেছিলেন।
পেরু ও কলম্বিয়ার সীমান্তের কাছের দুর্গম জঙ্গল এলাকায় একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ করতে গিয়েছিলেন এই দুইজন। এলাকাটিতে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীদের বসবাস।
জংলা ও অরাজক এই অঞ্চল কোকেইন পাচারকারী গ্যাংদেরকেও আকৃষ্ট করে। এছাড়াও অবৈধ কাঠ সংগ্রহকারী, খনি খননকারী ও শিকারীদেরও পছন্দের জায়গা সেটি।
তদন্তে নিয়োজিত রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা রয়টার্সকে বলেন যে, তারা ঐ এলাকার অবৈধ শিকারী ও অবৈধ জেলেদেরকে সন্দেহ করছেন। পেরেরার সাথে তাদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব লাগত, কারণ তিনি আদিবাসীদের দিয়ে স্থানীয় সংরক্ষিত এলাকায় টহল আয়োজন করতেন।
পুলিশ অ্যামারিলডো দা কস্তা বা “পেলাডো” নামে পরিচিত এক জেলেকে গ্রেফতার করেছে। তাকে অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ঐ দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কিনা তার তদন্ত চলাকালীন কস্তাকে হেফাজতে আটক রাখা হয়েছে।