ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রবিবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে। এদিকে, এক আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন যে, পূর্বাঞ্চলের সিভিরোডনেটস্ক শহরে রুশ সৈন্যদের পিছু হটাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সিভিরোডনেটস্ক শহরের দখলের জন্য রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জানিয়েছেন। একই সময়ে রবিবার রাজধানী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৮ এপ্রিলের পর থেকে কিয়েভে হওয়া এই প্রথম হামলায় রেলওয়ে অবকাঠামোকে নিশানা বানানো হয়। ২৮ এপ্রিলের সবশেষ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির এক প্রযোজক নিহত হয়েছিলেন।
পৃথকভাবে, লুহানস্ক অঞ্চল, নিকটবর্তী ডনেটস্ক অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের মিকোলায়েভ শহরে অন্তত ১১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সিভিরোডনেটস্ক লুহানস্ক অঞ্চলেই অবস্থিত।
জেলেন্সকি শনিবার সন্ধ্যায় তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে বলেন, “সিভিরোডনেটস্ক এর পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত কঠিন, সেখানে রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে।”
তিনি বলেন যে, রুশ আগ্রাসনের কেন্দ্রে থাকা পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস এলাকার শহরগুলো “অবিরত বিমানহামলা, গোলাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার” মধ্যে রয়েছে কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনী নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সার্হি হাইদাই রবিবার জানান যে, সিভিরোডনেটস্ক এ রুশ বাহিনী নিজেদের অবস্থান হারিয়েছে।
টেলিগ্রামে তিনি জানান, “রুশরা শহরটির ৭০% -র নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু গত দুই দিনে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।”
রাশিয়ার সেনাবাহিনী শনিবার দাবি করে যে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কিছু কিছু ইউনিট সিভিরোডনেটস্ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তবে, মেয়র ওলেকসান্দার স্ট্রিউক জানান যে, ইউক্রেনের বাহিনী শহরটি পুনর্দখল করতে লড়াই করে যাচ্ছে।
নিজেদের অর্জন হিসেবে রাশিয়া দাবি করেছে যে, ডনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে তারা ইউক্রেনের দুইটি কমান্ড সেন্টার এবং গোলাবারুদের ছয়টি গুদাম ধ্বংস করেছে।