কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, সৌদি আরবের দু’টি সরকারী প্রতিনিধিদল এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এদিকে রিয়াদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার টান টান সম্পর্ক ঠিক করার প্রচেষ্টা যেমন বেড়ে চলেছে তেমনি এ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চূড়ান্ত সফরের জন্য ভিত্তি স্থাপন করছে।
দুইজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম প্রতিনিধিদলটি ১৫ জুন ওয়াশিংটন সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল-কাসাবি নেতৃত্ব দেবেন। দ্বিতীয় প্রতিনিধিদলটি, বিনিয়োগ মন্ত্রী খালেদ আল-ফালিহের নেতৃত্বে, মাসের শেষের দিকে আসবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কারণ পরিকল্পনাটি প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিনিধি দলে কয়েক ডজন সরকারী কর্মকর্তা এবং সৌদি কোম্পানির নির্বাহীরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে যারা পরিবহন, লজিস্টিক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।
সৌদি সরকার মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়নি।
বাইডেন শুক্রবার প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তিনি শীঘ্রই সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারেন, এটি এমন একটি তথ্য যা একাধিক সূত্র বলেছে যে তা হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এই সফর সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে সাহায্য করবে, যেটি জ্বালানি শক্তির দাম বৃদ্ধি, ইয়েমেন যুদ্ধ এবং ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যার কারণে চাপের মধ্যে পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার ওপেক প্লাস নামে পরিচিত পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির সংস্থা এবং মিত্রদের মধ্যে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য সৌদি-সমর্থিত সরকার এবং ইরান-সমর্থিত হুথিদের মধ্যে একটি চুক্তি হবার পরে বাইডেনের এই ঘোষণা এসেছে । বাইডেন এবং হোয়াইট হাউজ উভয়ই সেসব সিদ্ধান্তের জন্য সৌদি আরবের প্রশংসা করেছে।
চীন ও রাশিয়ার সাথে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর গভীর সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও এখন পরিবর্তিত হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, " বাইডেনের সফর হোক বা না হোক, উভয় পক্ষই প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছে,"।