মিনুসমা মিশনের একজন মুখপাত্রের টুইট এ বলা হয়েছে, মধ্য মালিতে একটি ঘরে তৈরি বোমা বিস্ফোরণের পর শুক্রবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীর দু'জন সদস্য নিহত এবং দু'জন আহত হয়েছে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৈন্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মিশরীয় দলের অংশ ছিল।
মুখপাত্র অলিভিয়ের সালগাডো পোস্ট করেছেন, "মিনুসমার প্রধান, এই হামলার নিন্দা করেছেন।"
তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে টিমবুকটু যাওয়ার পথে ডুয়েন্টজা শহরের কাছে।
বুধবার, উত্তর মালির কিদালে জর্ডানের এক শান্তিরক্ষীর যানবহরের উপর হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
১৩০০০ সদস্য বিশিষ্ট মিনুসমা অর্থাত্ মালিতে জাতিসংঘের বহুমাত্রিক সমন্বিত একটি স্থিতিশীলতা মিশন। এটি জাতিসংঘের বৃহত্তম শান্তিরক্ষা কার্যক্রমগুলির মধ্যে একটি এবং বিপজ্জনক তত্পরতারও একটি।
ঘরে তৈরি বিস্ফোরণযোগ্য অস্ত্রগুলো হচ্ছে মিনুসমা এবং মালির বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদিদের পছন্দের অস্ত্র। এর দ্বারা তারা অনেক বেসামরিক মানুষকেও হত্যা করে।
ডিসেম্বরে ডুয়েন্টজা এবং সেভার এলাকার মধ্যে একটি আইইডি বিস্ফোরণে টোগোর সাতজন শান্তিরক্ষী নিহত হন।
সালগাদো বলেছেন, শুক্রবার, মিশরের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের গাড়িতে ছিলেন। সেই গাড়িগুলো জ্বালানি বহনকারী বেশকিছু বেসামরিক ট্রাককে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসছিল।
এই ধরনের যানবহর কয়েক মাইল দীর্ঘ হতে পারে। সালগাদো বলেন, যানবহরটি যাওয়ার সময় একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। মাইন কাছ থেকে কিংবা দূর থেকেও বিস্ফোরিত হতে পারে।
মধ্য মালি হল সহিংসতা এবং জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল যা উত্তর থেকে দেশের কেন্দ্রে এবং তারপর প্রতিবেশী বুর্কিনা ফাসো এবং নিজারে ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব সহিংসতায় হাজার হাজার বেসামরিক এবং যোদ্ধা মারা গেছে, এবং কয়েক হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এই সপ্তাহে যে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, একটি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস থেকে এবং আরেকটি মিনুসমা এর মানবাধিকার বিভাগ থেকে, যেখানে মধ্য মালিতে সহিংসতার তীব্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।