গত আগস্টে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারত তার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের একটি দল আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর তালিবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিবানের প্রধানমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং ত্রাণ সহায়তাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন।
বিশ্লেষকেরা এই সফরটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কারণ এটি তালিবান নেতৃত্বের সাথে ভারতের সম্পৃক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেয়।বেশিরভাগ দেশের মতো ভারতও এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
ভারত বলেছে , তাদের কর্মকর্তারা আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম তদারকি করবেন এবং সহায়তা বিতরণের সাথে জড়িত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
গত আগস্টে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার আগে আফগানিস্তানে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী দেশ ছিল ভারত। “সফট পাওয়ার” গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে দেশটিতে স্কুল, রাস্তা,বাঁধ এবং হাসপাতাল তৈরিসহ নানান প্রকল্পে ভারত প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল। তালিবানের আফগানিস্তান দখল ভারতের জন্য একটি কৌশলগত ধাক্কা এবং ঐ অর্জিত লাভের বিপরীতমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এখন বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারত সেই দেশের সাথে সম্পর্কের পুনর্গঠন চায় যে দেশের ওপর ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।
ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল বাজেটে ভারত আফগানিস্তানের জন্য সহায়তা হিসেবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল। তালিবান আফগানিস্তান দখলের পরে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে ভারত একাই আফগানিস্তানে কোন প্রতিনিধি ছাড়াই সম্পৃক্ত ছিল।চীন, ইরান, পাকিস্তান ও রাশিয়া কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি।