আফজাল হোসেন পেশায় প্রকৌশলী। কাজ করেন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ঢাকায় অবস্থিত অফিসে। তার অফিস এবং আবাসস্থল ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তিনি জানালেন, ছাত্রজীবন থেকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে, অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস তার। এখনো নিয়মিত বই পড়েন। বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে এখন তিনি অনলাইনের উপর নির্ভরশীল।
তিনি বললেন, ‘ঢাকা শহরের সব এলাকায় বইয়ের দোকান নেই। যেগুলো আছে, সেখানেও চাহিদা অনুযায়ী বই পাওয়া যায় না। অমর একুশে বই মেলা চলাকালে, মেলা থেকে পছন্দমতো বই সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময় পছন্দ অনুযায়ী বই তিনি অনলাইন থেকে ক্রয় করেন। বিভিন্ন সার্চ অপশন ব্যবহার করে, অনলাইন থেকে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় বইগুলোর অর্ডার দেওয়া যায় এবং ঘরে বসে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই বই পাওয়া যায়। এতে সময় এবং শ্রম দুটোই বাঁচে। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে বিশেষ ছাড়েও বই কেনা যায়। তিনি জানালেন, অনলাইনে বই কেনার ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত কোনো বিড়ম্বনা বা হয়রানির শিকার হননি তিনি।
ই-কমার্সের এই যুগে, অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রতিদিন। অনলাইনে জামা-কাপড়, খাবার-দাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা তো চলছে দেদারছে। তার পাশাপাশি আজকাল বই কেনা এবং পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে অনলাইনভিত্তিক বই বিক্রির সাইটগুলো। সাইটগুলোতে, পছন্দের বইয়ের প্রচ্ছদের উপর ক্লিক করে দুই/তিন পাতা পড়তে পারবেন, বইয়ের রিভিউ পড়তে পারবেন, মূল্য, প্রকাশনা সংক্রান্ত সকল তথ্য জেনে অর্ডার করে দিতে পারবেন। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বই হাজির হবে আপনার দোরগোরায়।
এখন আপনি দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে ক্লিক করেই বই কিনে ফেলতে পারবেন। আবার অনেক বই বিক্রির সাইট দেশের বাইরেও ডেলিভারি দিচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনভিত্তিক বই বিক্রি করে আসছে। করোনা মহামারীর সময় থেকে চাহিদা বেড়েছে অনলাইনে বই কেনার। এতে লাভবান হচ্ছেন লেখক, প্রকাশক ও পাঠকেরা। চলুন কয়েকটি বই কেনার সাইটের খোঁজ জেনে নেই-
রকমারি ডটকম
“যে সময় রকমারি ডটকম গড়ে তোলা হয় সে সময়ে বইয়ের বাজারটা ছিলো একেবারেই বাংলাবাজার কেন্দ্রিক। বইয়ের পাঠক কমে যাচ্ছিলো, ঢাকার বাইরে বইয়ের প্রাপ্তি নিশ্চিত করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। মূলত পাঠকের এই অপ্রাপ্তি পূরণ করার চিন্তা থেকেই রকমারি ডটকম শুরু। বাংলাদেশে প্রথম আমরাই ফোন করে বইয়ের অর্ডার নেয়া শুরু করি এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু করি। বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমরা বই সংগ্রহ করি। এছাড়া ইউকে, ইউএসএ থেকেও অনেক বই সংগ্রহ করি।” ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে আলাপকালে এ কথা বললেন রকমারি ডটকমের কমিউনিকেশন এন্ড ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের প্রধান মাহমুদুল হাসান সাদী।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি, রকমারি ডটকমের যাত্রা শুরু হয়।ওয়েবসাইট এবং গুগল অ্যাপ দুটোই আছে রকমারির। এটি অনলাইনে বই কেনার জনপ্রিয় সাইট। রকমারির ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক বই নিবন্ধিত আছে। তাদের নিজস্ব সংগ্রহে আছে লক্ষাধিক বই। এছাড়া যখন কোনো কাস্টমার বইয়ের অর্ডার দেন তখন বিভিন্ন প্রকাশকদের আউটলেট থেকে সংগ্রহ করেও দেয়া হয়। বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে থেকেও বই ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে রকমারি ডটকমের।
দেশের ভেতর ঢাকাতে নিজস্ব ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে তাদের। ঢাকার বাইরে, বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে, বিভিন্ন ডেলিভারি এজেন্সির মাধ্যমে বই সরবরাহ করে থাকে রকমারি ডটকম। দেশের বাইরে ডেলিভারির জন্য ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে তাদের পার্টনারশিপ রয়েছে। অমর একুশে বইমেলা চলাকালে, রকমারিতে থাকে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও, বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে পাঠকদের জন্য বই ক্রয়ের ক্ষেত্রে অফার থাকে সাইটটিতে।
মাহমুদুল হাসান সাদী বললেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে দিন শেষে কোয়ালিটি দিয়েই টিকে থাকতে হয়। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের গ্রাহক সাড়া খুব ভালো এবং গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী। অনলাইনে বইয়ের ব্যবসায় অন্যদের এগিয়ে আসাকে তিনি প্রতিযোগিতামূলক নয়, বরং সহযোগিতামূলক বলতে চান। কারণ অনলাইনে বই ক্রয় যত সহজলভ্য হবে, তত বেশি পাঠক তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার বিষয়গুলো সম্পর্কে তাঁর মতামত, এখনও বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্প খুব বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়নি। কিছু বড় প্রকাশনী ছাড়া অন্য প্রকাশনীগুলো তাদের ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হয়ে ওঠেনি। একটা বই, প্রকাশকের স্টকে কতগুলো আছে, বইটি আদৌ ছাপা কপি আছে কি না, তা অনেক প্রকাশনীই আপডেট দেয় না। সে কারণে বই অর্ডার নেয়ার পরে অনেক সময় দেখা যায় সেটা আনএভেইলেবেল। খুব দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি করতে পারাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। বই পড়ার এবং পাঠক বাড়ানোর ক্ষেত্রে সামগ্রিক উৎসাহের জায়গায় আরও একটু নেজর দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।
করোনার সময়ে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছিলো বলে জানান। করোনার কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছিলো। আবার লকডাউনের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায়, পাঠকদের বড় একটা অংশ অনলাইনমুখী হয়েছিলো। আবার প্রকাশনীগুলোর আউটলেট বন্ধ থাকায় বই ডেলিভারি অনেক ক্ষেত্রে বিলম্বিত হয়েছে। রকমারি ডটকমে বই ক্রয়ের সাইটের পাশাপাশি ই-বুক সাইটও গড়ে তোলা হচ্ছে। ডেক্সটপ ভার্সন থেকে এবং অ্যাপ থেকে বই পড়া যাবে। এই মুহুর্তে তিন থেকে চার হাজার বই আছে। বছর শেষে এই সংখ্যাটি পঞ্চাশ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য পন্য ও সেবাও আনবার চেষ্টা করছে রকমারি।
পাঠক সমাবেশ
পাঠক সামাবেশের অনলাইন যাত্রা ২০১৬ সাল থেকে। করোনা পরবর্তী সময় থেকে, অ্যাপ চালু করেছেন তারা। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপেল স্টোরে অ্যাপ ইনস্টল করে নিয়েও ক্রেতা বইয়ের আপডেট পেতে পারেন সহজেই। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে বই অর্ডার করা যায়। আবার দেশের বাইরে থেকেও ক্রেতারা বই অর্ডার করে পেতে পারেন। ইউএসএ, ইউকে, দুবাইসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ারের মাধ্যমে বই সরবরাহ করে পাঠক সমাবেশ।
পাঠক সমাবেশ তাদের নিজস্ব প্রকাশনার পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রায় সব স্বনামধন্য প্রকাশনীর বই সরবরাহ করে। তাদের অনলাইন সাইট থেকেই কেনা যাবে অন্য প্রকাশকের বইও। এছাড়া, বিদেশী বড় বড় প্রকাশনীর বাংলা ও ইংরেজি ভাষার বই রয়েছে তাদের সংগ্রহে। তবে পাঠক সমাবেশের সকল সংগ্রহ ফিকশন ও নন ফিকশন। অ্যাকাডেমিক বই বিক্রি করেন না।
কথা বলি পাঠক সমাবেশের সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) পলাশ দাশের সঙ্গে। জানালেন, তাদের ওয়েবসাইটে এই মুহুর্তে প্রায় আশি হাজার টাইটেলের বই রয়েছে। এছাড়া, অর্ডারকৃত যে বইগুলো পাঠক সমাবেশের স্টকে থাকে, সেগুলো আটচল্লিশ ঘন্টার ভেতরে ডেলিভারি দেয়া হয়। যেগুলো তাদের সংগ্রহে থাকে না, সেগুলো যদি বাংলাদেশি বই হয় এবং পাবলিশারের কাছে প্রিন্ট থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি দেয়া সম্ভব। আর বিদেশী বই হলে আনিয়ে দিতে সময় নেয়া হয় তিন থেকে চার সপ্তাহ।
পলাশ দাশ বললেন, পাঠকের কাছে জীবনী, অর্থনীতি এবং উপন্যাসের বইসমূহের চাহিদা বেশি। করোনা পরবর্তী সময়ে, বিভিন্ন আত্মোন্নয়নমূলক বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। করোনার সময় থেকেই অনলাইনে বই কেনার চাহিদা বেড়েছে। তবে করোনার সময়ে যেহেতু লকডাউন ছিলো, তাই বই আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছে, বিদেশী বইয়ের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। তাই সময়মত বই সংগ্রহ করা ও পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। তবে এখন সবই আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।
তিনি জানালেন, এ ব্যবসায় একটি প্রতিকূলতা হলো এখনও ক্রেতাদের আস্থার অভাব রয়েছে। কারণ, ক্রেতার আস্থা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, সুনাম ও কাস্টমার ডিলিংয়ের উপর। এখন নামে বেনামে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভুয়া পেজ রয়েছে, যারা ক্রেতাদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় কিংবা নিম্নমানের পন্য সরবরাহ করে। তাদের কারণে ক্রেতাদের আস্থার অভাব তৈরি হচ্ছে। তবে, গুণগত মান ঠিক থাকলে এ ব্যবসায় উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। বললেন, “পাঠক সমাবেশ দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর যাবৎ প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর, সুনামের সঙ্গেই তারা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের সঙ্গেও নির্ভরশীলতার সম্পর্ক তাদের আছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে বই ও অন্যান্য পন্যের অনলাইন বাজার টিকে থাকবে। একটা সময়ে আর হয়তো বড় বড় শপিং মল থাকবে না, ছোট একটা আউটলেট বা স্টোর থাকবে। কেনাকাটা সব অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে।”
ভবিষ্যতে ই-বুকের ভান্ডার গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনা আছে তাদের।
প্রথমা ডটকম
২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে প্রথমা ডটকম। এর আগে থেকেই প্রথমা প্রকাশনীর নিজস্ব প্রকাশনা ও আউটলেট রয়েছে। সেই প্রকাশনাগুলোকেই মানুষের কাছে আরো ভাল উপায়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমা ডটকম যাত্রা শুরু করেছিলো। প্রথমদিকে নিজেদের প্রকাশনাগুলোই রাখা হতো। পরবর্তীতে, পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে, আরো বেশি পাঠকের কাছে বই পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে, দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রকাশনার বইও তালিকাভূক্ত করে প্রথমা ডটকম। বাইরের প্রকাশনার একটা বড় অংশ আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সারা বাংলাদেশে বই ডেলিভরির ব্যবস্থা আছে প্রথমা ডটকমের। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও বই ডেলিভারি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
কথা হয় প্রথমা ডটকমের ইনচার্জ রাসেল রায়হানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, “পাঠকেদের কাছে ফিকশনের চাইতে ননফিকশন বইয়ের চাহিদা বেশি। তারমধ্যে রাজনীতির বইয়ের একটা ভালো কাটতি আছে। অনুবাদ গ্রন্থের চাহিদা বেশি। ফিকশনের মধ্যে অনুবাদকৃত থ্রিলারের চাহিদাও অনেক। এছাড়া, ধর্মীয় বইগুলোও মানুষ বেশি কেনে।”
বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন উৎসবে, দিবসে বই কেনার ক্ষেত্রে ছাড়, অফার, উপহার দেয়া হয়। রাসেল রায়হানের মতে, ভবিষ্যতে বই পড়া ও বই কেনার ক্ষেত্রে মানুষ পুরোপুরি অনলাইনের উপরেই নির্ভর করবে। প্রিন্টেড বই কেনার ক্ষেত্রে যেমন অনলাইনের উপর নির্ভরতা বাড়ছে, তেমনি ই-বুক বা ডিজিটাল বই পড়াও ধীরে ধীরে বাড়ছে।
প্রথমা ডট কমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে একটি হলো, ডিজিটাল বইয়ের সাইট তৈরি করা। সেটির কাজ চলছে বলে জানালেন তিনি। অনলাইনে বইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়। বাংলাদেশে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও পুরোপুরি পেশাদার হয়ে উঠতে পারেনি বলে তিনি মনে করেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে, জেলা শহরগুলোতে কুরিয়ারের মাধ্যমে পন্য পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা পোহাতে হয়। আর ক্রেতা এবং ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান বা কুরিয়ার সার্ভিসের মধ্যে অনেক সময়ই সমন্বয়ের অভাব থাকে। ফলে, পন্য ক্রেতার হাত পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়।
অন্যান্য সাইট
অনলাইনে বই কেনার আরো অনেক সাইট আছে। দিন দিন বাড়ছে সাইটের সংখ্যা। তবে টিকে থাকতে পারাটা ভীষণ জরুরি। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি শুধুমাত্র বই বিক্রির জন্য গড়ে ওঠা বিশেষায়িত সাইটগুলোর মধ্যে আরো আছে, পড়ুয়া ডটকম , বইঘর ডটকম , ওয়াফি লাইফ, কানামাছি, নীলক্ষেত.কম সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।
জেলা শহরের পাঠকের কথা
কথা বলি জেলা শহর নড়াইলের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, অনলাইনের মাধ্যমে নড়াইলে বসেই তিনি তার প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করতে পারছেন। প্রয়োজনীয় বইয়ের জন্য তাকে আর দোকানে দোকানে ঘুরতে হচ্ছে না। ফলে, যাতায়াত খরচ লাগছে না। তাছাড়া, স্থানীয় দোকানের চেয়ে কম দামে অনলাইন থেকে বই সংগ্রহ করতে পারছেন। স্থানীয় দোকানে অনেক প্রয়োজনীয় বই পাওয়া যায় না।
এই পদ্ধতির সমস্যার প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, "অনেক সময় অর্ডারকৃত সব বই পাওয়া যায় না। কিন্তু সেটা অর্ডার করার সময় জানানোও হয় না। এমনও হয়, একসঙ্গে ছয়টি বই অর্ডার করা হল, কিন্তু চারটি বই পাঠিয়েছে। বাকি দুইটির সরবরাহ নেই, সেটা বই ডেলিভারি হওয়ার পরে জানতে পারছি।"