ইরানে আরও এক রাতের মত বিক্ষোভ শুরু হলে তা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে ও আকাশে গুলি ছোঁড়ে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আবাদান শহরে একটি ভবন ধসে পড়ায় এমন বিক্ষোভ শুরু হয়। কর্মকর্তারা ভবন ধসে পড়ার জন্য দুর্নীতি ও নিরাপত্তায় শিথিলতাকে দায়ী করেছেন। ফারস সংবাদ সংস্থা ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।
তেল উৎপাদনকারী খুজেস্তান অঞ্চলে আবাদান অবস্থিত। খুজেস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হয়েছে, এবং অপর আরও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ১০ তলা এই আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনটি ধসে পড়ে। ভবন সংক্রান্ত নিয়ম না মানার জন্য এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঐ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনাটির তদন্তে থাকা কর্তৃপক্ষ, আবাদান-এর বর্তমান ও সাবেক মেয়র এবং পৌরসভার বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে আটক করেছে। নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্ক করা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভবন ধসের দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করতে সরকার রবিবার একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।
ফারস সংবাদ সংস্থা জানায়, শুক্রবার রাতে আবাদানে হওয়া এক বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। মানুষজন জোরপূর্বক ধসে পড়া ভবনটির ধ্বংসস্তুপের এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তখনও উদ্ধার অভিযান চলছিল। সংস্থাটি জানায় যে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও সতর্ক করতে গুলি ছোঁড়ে।
সামাজিক মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায় যে, মানুষজন লুকানোর জন্য ছুটাছুটি করছেন। “গুলি করবেন না, গুলি করবেন না” বলে মানুষের চিৎকার ও গুলির শব্দ শোনা যায়। রয়টার্স স্বাধীনভাবে ভিডিওগুলো যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
খুজেস্তানের বন্দরনগরী মাহশাহর থেকে পাওয়া অযাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা যায় যে, বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলছেন: “তারা আমাদের তেল ও গ্যাস চুরি করেছে, আমাদের রক্ত নিয়ে গিয়েছে।”