ধ্বংসপ্রাপ্ত মারিউপোল থেকে শরণার্থীদের নিয়ে ছোট গাড়ি (কার) ও ভ্যান সমন্বয়ে একটি বিশাল গাড়িবহর শনিবার (১৪ মে) ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত নগর জাপোরিঝিয়ায় পৌঁছেছে। এসব শরণার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরে মারিউপোল পরিত্যাগের জন্য রুশ বাহিনীর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন।
দীর্ঘ ৮০ দিনের যুদ্ধে রুশ বাহিনী মারিউপোলকে ধুলিস্যাত করে দিয়েছে। শহরটির বেশির ভাগ অংশই এখন রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেন দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিধ্বস্ত এই শহর থেকে ধীরে ধীরে বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।
শরণার্থীরা প্রথমে মারিউপোল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তারপর কোনোরকমে উপকূল ধরে আরও ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে এগিয়ে বার্দিয়ানস্ক পৌঁছান। তারপর বিভিন্ন বসতি পেরিয়ে উত্তর পশ্চিমে আরও ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপোরিঝিয়ায় পৌঁছান।
এর আগে মারিউপোলের মেয়রের একজন সহযোগী বলেন, বহরে ৫০০ থেকে ১০০০ গাড়ি ছিল। এটি ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলার পর থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক শরণার্থী সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা।
ইরিনা পেত্রেনকো (৬৩) বলেন, তিনি শুরুতে তার ৯২ বছর বয়সী মায়ের দেখাশোনার জন্য থেকে যান। কিছুদিন পর তার মা মারা যান।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বন্দর শহরটিতে শুধুমাত্র বিস্তৃত আজভস্টাল ইস্পাত কারখানাটি এখনো ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের দখলে রয়েছে।
“আমার বাবা-মায়ের বাড়িতে বিমান হামলা হয়। এতে সব জানালা উড়ে যায়”, ২৭ বছর বয়সী ইউলিয়া প্যানটেলিভা বলেন। এ সময় তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না।
“আমি সারাক্ষণ ভাবি, আমরা সেদিন বাড়িতে থাকলে আমাদের কি হতো”, তিনি বলেন।
মস্কো তার পদক্ষেপকে ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করার জন্য এবং তাদের ভাষায় রুশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহ্ন করতে একটি “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে অভিহিত করে। অন্যদিকে ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়া বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন শুরু করেছে।