অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ৭৬ বছর বয়সী এক রুশ চিত্রশিল্পী


সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ান শিল্পী ইয়েলেনা ওসিপোভার, (৭৬) বাড়িতে ইউক্রেনের সংঘাতের প্রতিবাদে তৈরি করা যুদ্ধবিরোধী প্ল্যাকার্ড। ৮ মে, ২০২২।
সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ান শিল্পী ইয়েলেনা ওসিপোভার, (৭৬) বাড়িতে ইউক্রেনের সংঘাতের প্রতিবাদে তৈরি করা যুদ্ধবিরোধী প্ল্যাকার্ড। ৮ মে, ২০২২।

ইয়েলেনা ওসিপোভা ৯ মে রাশিয়ার আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় দিবস উদযাপনের আগে খুব কমই ঘুমিয়েছেন।

৭৬ বছর বয়সী ওই শিল্পী পরদিন একটু দেরীতেই ঘুম থেকে উঠেছিলেন, কারণ তিনি আগের রাতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদে কিছু প্ল্যাকার্ড তৈরি করছিলেন।

কিন্তু যে মুহুর্তে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে তার বাসা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের পথে পা রেখেছিলেন, অমনি দু’জন অজানা লোক তার কাছ থেকে প্ল্যাকার্ডটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

চিত্রশিল্পী ইয়েলেনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, "এটা খুবই বিরক্তিকর ছিল। আমি অর্ধেক রাত জেগে প্ল্যাকার্ডগুলি তৈরি করেছিলাম এবং সেগুলো আমার সত্যিই খুব ভালোও লেগেছিল।"

"এটা স্পষ্ট যে এটি একটি সংগঠিত হামলা ছিল।"

সর্বদা অদম্য ওই মহিলা কষ্ট করে চলাফেরা করলেও, ঠিক এক ঘন্টার মধ্যে আরেকটি নতুন প্ল্যাকার্ড তৈরি করে প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হতে বেরিয়ে পরেন রাস্তায়।

তিনি তার নিজ শহরে বেশ সুপরিচিত।

তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের বিরোধিতা করে দুই দশক অতিবাহিত করার পর তাকে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর "সেন্ট পিটার্সবার্গের বিবেক" বলা হয়।

ক্রেমলিনের বাহিনী ইউক্রেনে প্রবেশ করার পর থেকেই, তিনি রাশিয়ানদের সংঘাতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এক মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

২০০০ সালে সাবেক কেজিবি এজেন্ট পুতিন ক্ষমতায় আসার দুই বছর পর, ওসিপোভা প্রথম রাস্তায় নামতে শুরু করেন।

২০১৪ সালে যখন মস্কো যখন ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে এবং দেশটির পূর্বে লড়াই শুরু করে, তার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।

তিনি বলেন, "২০০২ সাল থেকে আমি আর নীরব থাকতে পারিনি, কারণ নীরবতা মানেই আমার দেশে যা ঘটছে তার সাথে সন্ধি।"

"তাই আমি প্রতিবাদ করতে যাই।"

ওসিপোভাকে অনেকবারই পুলিশ আটক করেছে, কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তারা এখন তাকে এত ভালো করে চেনে যে, তারা মাঝে মাঝে তাকে স্টেশনে না নিয়ে গিয়ে সোজা তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়।

XS
SM
MD
LG