প্রথম দফা শান্তি আলোচনা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর কঙ্গোর অস্থিতিশীল পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র দলের মধ্যে লড়াইয়ে ছয়জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং একজন গবেষক সোমবার (২ মে) বলেছেন।
শনিবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের ফিজি অঞ্চলে বিলোজ বিশাম্বুক সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স বা এফএবিবি নামে একটি জাতিগত মিলিশিয়ার সঙ্গে কঙ্গোলিজ তুতসি সম্প্রদায় বানিয়ামুলেঞ্জের ছোট ছোট দলগুলোর সংঘর্ষ বাধে।
পূর্ব কঙ্গোতে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী দল সক্রিয় রয়েছে। তাদের বেশির ভাগই ২৫ বছর আগের দুটি আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িত ছিল।
মিনেম্বওয়ে জেলার প্রশাসনিক প্রধান, গ্যাডি মুকিজা বলেছেন, “এফএবিবির প্রতিক্রিয়ার কারণ” বানিয়ামুলেঞ্জ বাহিনীর তিনটি দল ঐতিহ্যগতভাবে নিরপেক্ষ একটি অঞ্চলে দুটি গ্রাম দখল করে “যেটাকে তারা উস্কানি বলে মনে করছে”৷
মুকিজা বলেন, নিহত ছয়জন ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তিনটি বানিয়ামুলেঞ্জ দলের মধ্যে দুটি—টুইরওয়ানেহো ও এনগুমিনো, গত সপ্তাহে কেনিয়ার নাইরোবিতে শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির প্রেরিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইটুরি এবং উত্তর ও দক্ষিণ কিভু প্রদেশের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র দলের প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি আলোচনায় যোগ দেন।
বুধবার পাঁচ দিনের অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। এরপর আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুসাম্বা আরও বলেন, এফএবিবি নাইরোবি আলোচনায় আমন্ত্রণ না পাওয়ায় স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ ছিল।
১৯৯৬-৯৭ এবং ১৯৯৮-২০০৩–এ কঙ্গো যুদ্ধে সহিংসতা, রোগ বা অনাহারে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সংঘাতটি পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার আশেপাশের দেশগুলোকে জড়িয়ে ফেলে এবং অগণিত বিদ্রোহী দলের জন্ম দেয়। যারা সাধারণত জাতিগত সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে দাবি করে।