বুধবার তাইওয়ানের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, চীনা আক্রমণের বিরুদ্ধে লটাইয়ের অনুশীলনের অংশ হিসেবে এই বছর তাইওয়ানের প্রধান সামরিক মহড়া ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করবে, অসম এবং জ্ঞানভিত্তিক যুদ্ধের পাশাপাশি রিজার্ভের ব্যবহারে মনোযোগ দেবে।
তাইওয়ানকে চীন তার নিজস্ব এলাকা হিসেবে দাবি করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে তাইওয়ান সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়েছে। বেইজিং তাইওয়ানে ইউক্রেনের অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে এই সতর্কতা নেয়া হয়েছে যদিও এমন ঘটনা ঘটার কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
তাইপেইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশলগত প্রভাবের দিকেও নজর রাখছে এবং চীনের আক্রমণের জন্য দ্বীপটি কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে তা বিবেচনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করছে যদিও তা খুব কমই প্রচার করা হয়।
অক্টোবরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাইওয়ানের সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অল্প সংখ্যক সেনা তাইওয়ানে রয়েছে।
ইউক্রেন ও তাইওয়ানের মধ্যকার কোনো প্রকার তুলনা প্রত্যাখ্যান করে চীন বলেছে, তাইওয়ান চীনের একটি অংশ, স্বাধীন কোনো দেশ নয়। চীন গত প্রায় দুই বছর ধরে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বৃদ্ধি করছে।
তাইওয়ান চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বলে যে, শুধুমাত্র ঐ দ্বীপের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।