২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় সোমবার (২৫ এপ্রিল) ইরান “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” একটি নতুন বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
তথাকথিত জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) পুনরুজ্জীবিত করতে তেহরান প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া এবং পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় নিয়োজিত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ তার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুখোমুখি বৈঠক করা জরুরি”।
“এই বৈঠকটি কোথায় ও কখন হবে এবং কোন স্তরে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এটি আলোচ্যসূচিতে রয়েছে”।
২০১৫ সালের চুক্তিটি ইরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিতের বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেয়। চুক্তিতে বলা ছিল তেহরান কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না, যদিও ইরান সবসময় পারমানবিক অস্ত্র নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে এবং ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে প্ররোচিত করে এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
কয়েক দশক ধরে পরস্পরের প্রতিপক্ষ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েনা আলোচনার ইউরোপীয় সমন্বয়কারী এনরিক মোরার মাধ্যমে মতামত বিনিময় করছে।
খতিবজাদেহ বলেন, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমত হয়েছে যে, “আলোচনার বিরতি দীর্ঘায়িত করা কারও স্বার্থের পক্ষে নয়”।
ভিয়েনা আলোচনা ১১ মার্চ থেকে স্থগিত করা হয়েছে, যখন রাশিয়া নিশ্চয়তা দাবি করেছিল যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের পরে তার বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের সঙ্গে তার বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
কয়েক দিন পরে মস্কো বলেছিল যে, তারা প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা পেয়েছে।
এক বছর আগে শুরু হওয়া ভিয়েনা আলোচনার লক্ষ্য হলো ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা এবং তেহরানকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে সম্মত করা।