অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের গার্ডস উপসাগরে একটি জ্বালানি পাচারকারী জাহাজ আটক করেছে-বলেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম


ফাইল ছবি: পারস্য উপসাগরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের একটি জলযান দেখা যাচ্ছে। ২২ আগস্ট ২০১৯। (ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি থেকে রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)
ফাইল ছবি: পারস্য উপসাগরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের একটি জলযান দেখা যাচ্ছে। ২২ আগস্ট ২০১৯। (ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি থেকে রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস পারস্য উপসাগরে জ্বালানি পাচারকারী একটি বিদেশি জাহাজ জব্দ করেছে এবং এর নাবিকদের গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এটি এই মাসে জ্বালানি চোরাচালানের তৃতীয় ঘটনা।

রেভল্যুশনারি গার্ডস “পারস্য উপসাগরের উত্তরে পাচারকৃত ২ লাখ লিটার (প্রায় ৫৩ হাজার গ্যালন) জ্বালানি বহনকারী একটি বিদেশি জাহাজ জব্দ করে এবং জাহাজটিকে বুশেহরে (বন্দর) ভেড়ায়”, রেভল্যুশনারি গার্ডসের নৌবাহিনীর একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আইআরআইবি জানায়।

“জাহাজের আটজন বিদেশি নাবিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুশেহর বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তাদের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে”, আইআরআইবি এটি যোগ করেছে।

জাহাজের নাবিকদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।

ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইরানের সামরিক বাহিনীর আদর্শিক শাখা।

ঘটনাটি পারস্য উপসাগরের সামুদ্রিক অঞ্চলে জ্বালানি-পাচারকারী জাহাজ জব্দ করার সর্বশেষ ঘটনা। সেখানে বিশ্বের তেলের একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় এবং পরিবহন করা হয়।

১৫ এপ্রিল ইরানি গণমাধ্যম ২ লাখ ৫০ হাজার লিটার তেল চোরাচালানকারী একটি জাহাজ আটক এবং এর সাত নাবিককে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে।

১১ জন নাবিকসহ আরেকটি জাহাজ ৯ এপ্রিল জব্দ করা হয়েছিল বলে সংবাদ সংস্থা জানায়।

“জাতীয় উৎপাদন এবং দেশের অর্থনীতির গতিশীলতাকে সমুন্নত রাখতে চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই, বিশেষ করে জ্বালানি চোরাচালান, আইআরজিসি নৌবাহিনীর অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার”, বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG