অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আটক আমেরিকান নাগরিককে মুক্তি দিতে ইরানের প্রতি ব্লিংকেনের আহ্বান


ফাইল ছবি: এভিন কারাগার, তেহরান, ইরান।
ফাইল ছবি: এভিন কারাগার, তেহরান, ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার (২৩ এপ্রিল) একজন আমেরিকান নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশটি যখন পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার মধ্যে তাকে বছরের পর বছর ধরে একটি “রাজনৈতিক ঘুঁটি” হিসেবে বন্দী রাখা হয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এমাদ শারঘিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইরানের গণমাধ্যম ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জানায়, দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাকে আটক করা হয়েছিল।

ব্লিংকেন বলেছেন যে, ইরানি আমেরিকান এই উদ্যোক্তা পুঁজিপতিকে চার বছর ধরে বন্দী রাখা হয়েছে এবং “পরিবারটি উদ্বেগের সঙ্গে ইরানি সরকারের এমাদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে”।

“অন্য অনেক পরিবারের মতো, তাদের প্রিয়জনকে রাজনৈতিক ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে”, শীর্ষ এই কূটনীতিক টুইটারে একটি পোস্টে বলেছেন। “আমরা ইরানকে এই অমানবিক প্রথা বন্ধ করতে এবং এমাদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি”।

ইরানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত রবার্ট ম্যালি শনিবার বলেছেন যে, ঠিক চার বছর আগে শার্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

“তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন, কিন্তু তারপরে তার অনুপস্থিতিতে দোষী সাব্যস্ত এবং আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। এভিন কারাগারে ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে আটক তিনি”, ম্যালি বলেছেন। “এমাদ, নামাজি ও মোরাদ তাহবাজদের এখনই দেশে ফিরতে দেওয়া উচিত”।

পশ্চিমা দেশগুলোর এক ডজনেরও বেশি নাগরিককে ইরানে আটকে রাখা হয়েছে। তেহরান গত মাসে দুই ব্রিটিশ নাগরিককে বছরের পর বছর আটকের পরে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে এবং অন্য একজনকে কারাগার থেকে মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।

যারা কারাগারে বন্দী বা গৃহবন্দী বা ইরান ত্যাগ করতে অক্ষম তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সম্ভাব্য চুক্তি হলে তাদের অবস্থার উন্নতি হতে পারে এই প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

২০১৫ সালে ওয়াশিংটন ও অন্য পাঁচটি বিশ্বশক্তি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তেহরানের সঙ্গে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির পারমাণবিক কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরতে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

ডনাল্ড ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। যার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলো স্থগিত করে।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার লক্ষ্য হলো ওয়াশিংটনকে চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা। যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং পূর্বপ্রতিশ্রুতি পালনে তেহরানের পূর্ণ সম্মতি নিশ্চিত করা।

আলোচকেরা বলছেন যে, তারা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কাছাকাছি পৌঁছেছেন, কিন্তু এখনো সব বিষয় চূড়ান্ত করতে পারেনি।

XS
SM
MD
LG