সাংহাইয়ের প্রধান আর্থিক কেন্দ্রটি ২২শে এপ্রিল কোভিড ১৯ ‘এ সংক্রমিত ১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে,আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১১। এদিকে কঠোর লকডাউন এবং অনলাইনে কঠোর সেন্সরশিপের কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা বেড়েই চলেছে।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত শহরটি চীনে করোনাভাইরাসের বৃহত্তম প্রাদুর্ভাবের সাথে লড়াই করছে। শুক্রবার স্থানীয় ভাবে ২০,৬৩৪ টি নতুন উপসর্গবিহীন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে, যা একদিন আগে ১৫,৬৯৮ টি ছিল। উপসর্গ আছে এমন সংক্রমণ ২,৭৩৭ এ পৌঁছেছে, যা ২১শে এপ্রিল ১,৯৩১টি সংক্রমন ছিল ।
সাংহাই সরকার বলেছে, মারা যাওয়া রোগীদের গড় বয়স ছিল ৮৮ বছর। সকলেরই অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল, এবং কাউকেই টিকা দেওয়া হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন স্কুল অফ পপুলেশন হেলথ, সাংহাই এর প্রাদুর্ভাব পর্যবেক্ষণ করছে, সেখানকার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জয়া দান্তাস বলেন, "একটি কৌশল যা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন তা হল বয়স্ক এবং অন্যান্য দুর্বল মানুষের জন্য বুস্টার টিকা দেওয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করা এবং এমআরএনএ ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যায় কিনা তা দেখা ”।
চীন এখনও তার নিজস্ব এমআরএনএ ভ্যাকসিন চালু করতে পারেনি এবং সেগুলি উন্নত দেশ থেকে আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিলিন, যা কিনা আরেকটি সাম্প্রতিক করোনা প্রাদুর্ভাবের অবস্থান, সেখানকার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের টীকাগুলি এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে, যদিও নতুন উদীয়মান কোভিড ১৯ প্রকরণগুলোর ব্যাপারে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না।