একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সোমালিয়ার মোগাদিশুতে পুলিশ প্রধান ও আইনপ্রণেতাদের উপস্থিতিতে সৈকতে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণে সরকারি কর্মকর্তারা অক্ষত ছিলেন। এতে ভবনের ভেতরে আগুন লাগে। এ সময় কুণ্ডলি পাকানো ধোঁয়ার ভেতরে নৈশভোজে আসা অতিথিরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্যে ছোটাছুটি করছিলেন।
“রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটে। সম্ভবত একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হামলাটি চালায়, কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত [কারণ সম্পর্কে] নিশ্চিত নই...”, বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
আমিন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পরিচালক আবদিকাদির আবদিরহমান সাংবাদিকদের বলেন, “বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন”।
হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-শাবাব।
“আমাদের বিশেষ অপারেশন ইউনিট পুলিশ প্রধান ও ধর্মভ্রষ্ট আইনপ্রণেতাদেরসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। আব্দুল আজিজ জেলায় এই হামলার ফলে অনেকে ঘটনাস্থলে যারা মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন”, শাহাদা সংবাদ সংস্থায় দলটি একটি বিবৃতিতে বলেছে।
বিস্ফোরণের পর বিক্ষিপ্ত গুলিবর্ষণ হয়, কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করছিলেন এমন একজন ফারাহ দাহির বলেন।
মর্টার হামলা
নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের একটি বৈঠক চলাকালে সোমালিয়ার পার্লামেন্টকে লক্ষ্য করে মর্টার হামলার কয়েক দিন পর এই বিস্ফোরণ ঘটে।
সোমবারের ওই হামলায় কোনো আইনপ্রণেতা হতাহত হননি। হামলায় দায় স্বীকারকারী ইসলামপন্থী জঙ্গি দল আল-শাবাব এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।
হর্ন অফ আফ্রিকা নামে পরিচিত দেশটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেকগুলো হামলার শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে দীর্ঘ বিলম্বিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা প্রায়ই সোমালিয়ার রাজধানী এবং বাইরে বেসামরিক, সামরিক এবং সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
জিহাদিরা ২০১১ সাল পর্যন্ত মোগাদিশু নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। পরে তারা আফ্রিকান ইউনিয়নের বাহিনীর হাতে বিতাড়িত হয়েছিল। কিন্তু তারা এখনো গ্রামাঞ্চলে অনেক এলাকা দখল করে আছে।
[ভয়েস অফ আমেরিকার সোমালিয়া সার্ভিস এই প্রতিবেদনে সাহায্য করেছে]