বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যাত্রী নিয়ে বাস ও অন্য যানবাহন চলাচলের প্রধান রুট ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক। এই মহাসড়কের মানিকগঞ্জে কিছু অংশের সংস্কার কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় তীব্র যানজটের কারণে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকেরা জানান, ঈদে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক হাজার মানুষ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) জানায়, মহাসড়কের কমপক্ষে ১০টি স্থানে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে; যা এই রুটে স্বাভাবিক যান চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।
তাই মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও পরিবহন শ্রমিকেরা।
এদিকে আরএইচডি সূত্র জানিয়েছে, মহাসড়কের সব ধরনের সংস্কার কাজ ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মানিকগঞ্জ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস-উল-হাসান মারুফ বলেন, “নবীনগর থেকে নয়ারহাট ও পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ, পৃথক বাস লেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ ২০২১ সালে শুরু হয়েছে। এসব কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি ঈদের এক সপ্তাহ আগে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের সব পয়েন্ট জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে”।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান জানান, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, “মানিকগঞ্জের বারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট (টার্মিনাল) পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়”।
ঈদের আগে তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে টহল দল মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।