যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ গত মার্চ মাসে মেক্সিকোর সাথে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টাকালে, ২১০,০০০ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। যা গত দুই দশকের মধ্যে এক মাসে গ্রেপ্তার হওয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী।
মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হওয়া অবৈধ অভিবাসীর এই সংখ্যা এক বছরের আগের একই মাসের তুলনায় ২৪% বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর, তার রিপাবলিকান পূর্বসুরি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনেক কট্টর অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বহু সংখ্যক অভিবাসী সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করতে থাকলে, অপারেশনাল এবং রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বেগ পেতে হয়েছে।
রিপাবলিকানরা, নভেম্বরের ৮ তারিখের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার আশা করছেন। তারা বলেছেন, ট্রাম্প-যুগের নীতিগুলির থেকে সরে আসার ফলে আরও অবৈধ অভিবাসীকে এদেশে ঢুকতে উত্সাহিত করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অর্ধেকেরও বেশি যথারীতি মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরের মতো দেশ থেকে আসা। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমানভাবে ইউক্রেন এবং রাশিয়াসহ আরও দূরবর্তী স্থান থেকেও অভিবাসীরা আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় ১৮,০০০ এর মতো অভিবাসী প্রত্যাশীকে ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার রাতে আদালতে দায়ের করা মামলার পরিসংখ্যান থেকে মাসে ২১০,০০০ অভিবাসী গ্রেপ্তারের খবরটি জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটি এক মাসে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
আদালতের ফাইলে বলা হয়েছে, অন্য ১১,০০০ অভিবাসী কোন রকম বৈধ ভিসা বা অনুমতি ছাড়াই মার্চ মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, মার্চ মাসে বহিষ্কৃত অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেককে অধ্যাদেশ ৪২-এর অধীনে বহিষ্কার করা হয়।