ইউক্রেনের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারক মেটিনভেস্ট শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাশিয়ার কর্তৃত্বের অধীনে কখনো কাজ না করার শপথ নিয়েছে এবং বলেছে যে, মারিউপোল শহরের অবরোধের কারণে দেশের মোট ধাতব উৎপাদন সক্ষমতার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এখন অচল রয়েছে।
ইউক্রেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, রিনাত আখমেতোভ পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পরে ইউক্রেনের আকরিক লোহার উৎপাদন অর্ধেকের বেশি হ্রাস পায়। ইউক্রেন ইউরোপের আকরিক লোহার সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী।
মারিউপোলের ইলিচ ও আজোভস্টালে মেটিনভেস্টের দুটি সুবিশাল ইস্পাতের কারখানা রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সরঞ্জামগুলোকে রক্ষা করতে এবং দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য সেগুলোকে বিশেষ “উচ্চতাপযুক্ত সংরক্ষণ” পদ্ধতির মধ্যে রাখা হয়।
আজোভ সাগরের তীরে শহরটি কয়েক সপ্তাহের গোলাবর্ষণ ও অবরোধের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
শিল্পের ক্ষতি
মেটিনভেস্ট বিবৃতিতে বলেছে যে, সাইটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু যুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এতে বলা হয়েছে: “আমরা ইউক্রেনের বিজয়ে বিশ্বাস করি এবং সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে উৎপাদন আবারও শুরু করার পরিকল্পনা করছি। মেটিনভেস্টের ধাতব উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই রাশিয়ার কর্তৃত্বের অধীনে কাজ করবে না”।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, মারিউপোলে মেটিনভেস্টের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ইউক্রেনের সমগ্র ধাতব উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি উৎপাদন করে থাকে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে, ব্যবসায়ী আখমেতভ বলেন যে, মেটিনভেস্ট এই বছর আধুনিকীকরণ এবং নতুন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, আজোভস্টালে দুটি বোমা পড়েছে।