বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) জেলার জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলায়, পৃথক ঘটনায় এরা মারা যান।
জগন্নাথপুরে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে বয়ে যাওয়া ঘন্টাব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ে, মা-মেয়ে ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বহু ঘরবাড়ি, ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জগন্নাথপু উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হারুণ মিয়ার টিন সেড ঘরের ওপর দুটি বড় গাছ প্রচন্ড ঝড়ে উপড়ে ঘরের ওপর পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল শিক্ষক হারুণ মিয়ার স্ত্রী মৌসুমি বেগম (৩৫), মেয়ে মাহিমা বেগম (৪) এবং এক বছর বয়সী ছেলে হোসাইন আহমেদ মারা যান।
পাটলী ইউপি চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া জানান, “বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে দুটি গাছ টিন ঘরের ওপর পড়লে, মা ও ছেলে- মেয়ের মৃত্যু হয়। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।”
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, “হারুন মিয়া একটি বেসরকারি স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক। পরিবারটি খুবই গরীব। স্ত্রী সন্তান হাহারুণ মিয়া এখন পাগলপ্রায়।”
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মা ও ছেলে- মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলার শাল্লা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামে বজ্রপাতে মুকুল খাঁ (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁর (৭) মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, মাসুদ খাঁ তার দুই ছেলে ও শ্যালক-পুত্রকে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সকাল ৭টার দিকে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মুকুল খাঁ ও ছেলে মাসুদ খাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মুকুল খাঁর ছেলে রিমন খাঁ (১১) ও শ্যালক পুত্র তানভীর হোসেন (৭) আহত হন। এদের চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্শন করেছে।