শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশে বলেছেন, তিনি রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে তাঁবু খাটিয়ে যারা বিক্ষোভ করছেন তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক। বিক্ষোভকারীরা দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তার ও তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশের পদত্যাগ দাবি করছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, তিনি সংকট সমাধানের জন্য যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত।
বিপুল ঋণ এবং হ্রাসমান বৈদেশিক রিজার্ভের চাপের সাথে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি লড়াই করে যাচ্ছে। আর এ কারণে সেখানে ঔষধ, খাদ্য ও জ্বালানির গুরুতর ঘাটতি তৈরি হওয়ায় দেশটিতে দিনে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে শ্রীলঙ্কার অত্যাবশ্যকীয় পর্যটন শিল্পও বন্ধ হয়ে গেছে যা দেশটির অর্থনীতিতে আরও অতিরিক্ত আঘাত হেনেছে।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ঋণ পুনর্গঠন কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তাই তারা সমস্ত বিদেশী ঋণ পরিশোধ স্থগিত করছে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে তার পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের বাইরে চলমান বিক্ষোভ বন্ধ করতে গত মাসে শেষের দিকে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
কিন্তু ৪১ জন আইনপ্রণেতা ক্ষমতাসীন জোট ত্যাগ করে নির্দলীয় হওয়ায় এবং এর ফলে শ্রীলঙ্কার এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদে সরকারের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হবার কয়েকদিন পরে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রাজাপাকশের ভাই বাসিল সহ রাজাপাকশের ২৬ সদস্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের ২ দিন পরে গণ পদত্যাগের এই ঘটনা ঘটে। রাজাপাকশের ভাই বাসিল অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।