মঙ্গলবার পাকিস্তানের নতুন সরকার বলেছে, তারা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা উন্নয়নের “অভিন্ন লক্ষ্য” তুলে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে “গঠনমূলক ও ইতিবাচক”ভাবে সম্পৃক্ত থাকবে।
সোমবার পাকিস্তানের সংসদ অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার প্রায় ৪ বছরের পুরনো জোট সরকারের অবসান ঘটিয়েছে। দেশটির সংসদ শেহবাজ খানকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন স্যাকির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শরিফের কার্যালয় বলেছে, “আমরা পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পুনর্নিশ্চিতকরণকে স্বাগত জানাই”।
সোমবার স্যাকি বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন “সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক নীতির শান্তিপূর্ণ অনুসরণ” সমর্থন করেছিল এবং পাকিস্তানে একটি রাজনৈতিক দলের ওপর আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
ওয়াশিংটনের সাথে ইসলামাবাদের ঐতিহ্যগতভাবে অস্থিতিশীল সম্পর্কে ইমরান খানের ক্ষমতাকালে ধাক্কা লেগেছিল। ইমরান খান ২০১৮ সালে সংসদে অল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একটি জোট সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রায় ৪ বছর প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে চলা, তার ভাষায় ‘ত্রুটিপূর্ণ যুদ্ধ’-এর কারণে, নিরলসভাবে ওয়াশিংটনের সমালোচনা করেছেন।গত আগস্টে আফগান যুদ্ধ শেষ হয়।
ক্ষমতাচ্যুত হবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইমরান খান বারবার অভিযোগ করেছেন যে, পাকিস্তানকে চীন ও রাশিয়ার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার শাস্তিস্বরূপ তার সরকারের পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার রাজনৈতিক বিরোধীদের সাথে যোগসাজশ করেছে।
পাকিস্তানের বিরোধীদল এবং ওয়াশিংটন উভয়েই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।