ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে প্রতিবাদকারীরা কাবুল এবং হেরাতে ইরানের কূটনৈতিক মিশনে ঢিল ছুড়ে মারার একদিন পর মঙ্গলবার ইরান তেহরানে আফগান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং আফগানিস্তানে সমস্ত কনস্যুলার পরিষেবা বন্ধ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে টুইটারে পোস্ট করা কিছু ভিডিওতে ইরানে সাধারণ ইরানিদের দ্বারা তরুণ আফগান শরণার্থীদের হয়রানি ও অপমানিত হওয়ার ঘটনা দেখার পরে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। রয়টার্স ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সোমবার ইরানি কর্মকর্তারা ইরানে আফগান শরণার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
রাষ্ট্রীয় টিভি আরো জানিয়েছে, "সোমবার আফগানিস্তানের কাবুলে ইরানি দূতাবাস এবং হেরাতে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিবাদে তেহরানের আফগান চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা হয়,"।
রয়টার্স দ্বারা যাচাই করা যায়নি সোশ্যাল মিডিয়ার এমন সব ফুটেজে আফগান বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দলকে সোমবার কাবুলে এবং পশ্চিম আফগান শহর হেরাতে ইরানের কূটনৈতিক মিশনে ঢিল ছুঁড়তে দেখা গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে তালিবান, যারা আফগানিস্তানকে শাসন করে, তারা তেহরানের কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য দায়ী এবং "পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত" এই প্রতিবেশী দেশটিতে তাদের কনস্যুলার পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
যদিও ইরানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তালিবানের সাথে সাধারণত ভালো সম্পর্ক ছিল, দুই দেশের ৫৬০ মাইলের যৌথ সীমান্তে দীর্ঘকাল ধরে উত্তেজনা চলছে, যেখানে সক্রিয় চোরাচালানের নিয়মিত পথ রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, নথিভুক্ত এবং অনথিভুক্ত উভয় ধরনের ৫০ লাখেরও বেশি আফগান ইরানে বসবাস করে।