রাশিয়ান বাহিনী রবিবার পূর্ব ইউক্রেনের একটি স্কুল এবং আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে বলে স্থানীয় লুহানস্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের "দেরি না করে" শিগগীরই ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেছেন, সেভেরোডোনেটস্কের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং দুজন বয়স্ক বাসিন্দাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল, তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পৃথকভাবে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের ডিনিপ্রোর গভর্নর ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী পুরো অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, এতে একজন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এবং রাজ্য রেলওয়ে লোকজনদের সরিয়ে নেওয়ার নতুন একটি রুট ঘোষণা করেছে, কিন্তু তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে শুক্রবার ক্রামাতোর্স্কের একটি রেলস্টেশনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫২ জন নিহত হওয়ার পর, লোকজন হয়ত ভয়ে আর রেলপথ দিয়ে পালানোর চেষ্টা নাও করতে পারে।
পূর্ব ইউক্রেনে ক্রমাগত রাশিয়ান হামলা, দেশটির উত্তরে রাজধানী কিয়েভের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য ছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার কিয়েভের রাস্তায় ঘুরে দেখেন, সম্প্রতি মস্কো পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে তাদের আক্রমণ কেন্দ্রীভূত করার জন্য সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার আগে পর্যন্ত ওই এলাকাগুলি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল বা প্রায় ক্রমাগত আক্রমণের মধ্যে ছিল।
ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমের অব্যাহত সামরিক সহায়তার অংশ হিশেবে, ব্রিটেন ইউক্রেনে আরও ১২০ টি সাঁজোয়া যান এবং নতুন এন্টি-শিপ মিসাইল পাঠাবে বলে এ সময় জনসন ঘোষণা দেন।
জেলেন্সকি অবিরত দাবি করে আসছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান জেলেন্সকির ওই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন।
সালিভান রবিবার সিএনএন-এর "স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন" শোতে বলেন, “ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সজ্জিত করার গতি, মাত্রা এবং পরিমাণ নজিরবিহীন”। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র "সারা বিশ্বকে সংহত করা অব্যাহত রাখবে"।
রাশিয়ান আগ্রাসন ইউক্রেন থেকে ১ কোটিরও বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে।