শেহবাজ শরীফের পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজ দেশের বাইরে তার পরিচিতি খুব সামান্য হলেও, দেশের অভ্যন্তরে একজন রাজনীতিবিদের চাইতে একজন কার্যকর প্রশাসক হিসেবেই তার অধিক সুনাম রয়েছে।
পাকিস্তানের তিন দফার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই, ৭০ বছর বয়সী শেহবাজ। রবিবার সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবটির সফল নেতৃত্ব দেন তিনি। খানের সমর্থকরা কয়েক ঘন্টা ধরে সেটি আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে শেহবাজের, যেটি তার ভাই নওয়াজ শরীফের ছিল না। ২২ কোটি জনসংখ্যার পারমাণবিক শক্তিধর দেশটিতে সাধারণত সেনাবাহিনীই দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
পাকিস্তানের সামরিক জেনারেলরা এ পর্যন্ত তিনবার দেশটির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর, দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এ পর্যন্ত কোন প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
অনাস্থা ভোটটির পরপরই শেহবাজ বলেন যে, খানকে উৎখাত করা, সবকিছু নতুনভাবে শুরু করার একটি সুযোগ। খানের বদলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শেহবাজই বিরোধীদলগুলোর যৌথভাবে মনোনীত ব্যক্তি।
পাকিস্তানের সম্পদশালী শরীফ রাজনৈতিক পরিবারের একজন সদস্য শেহবাজ। তিনি তার “করা সম্ভব” মনোভাবের জন্য বেশ সুপরিচিত। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এমন মনোভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সে সময়ে চীনের অর্থায়নে সম্পাদিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এও বলেন যে, ভালোর জন্য হোক বা খারাপের জন্য, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেহবাজের এমন মনোভাব, ওয়াশিংটনের সাথে ইমরান খানের সাম্প্রতিক বৈরি সম্পর্কের একেবারে বিপরীতমুখী।