সৌদি আরব শনিবার (৯ এপ্রিল) বলেছে যে, এ বছর তারা দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে ১০ লাখ মুসলমানকে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেবে।
উল্লেখ্য, মহামারি বিধিনিষেধের কারণে দুই বছরে খুব কমসংখ্যক লোক হজ করার অনুমতি পেয়েছিলেন।
দেশটির হজ মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বছর হজ পালনের জন্য বিদেশি এবং দেশীয়, দুই ক্ষেত্রেই ১০ লাখ তীর্থযাত্রীকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে”।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো হজ। সকল মুসলিমকে তাদের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি সাধারণত বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলোর মধ্যে একটি। ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজে অংশ নেন।
কিন্তু ২০২০ সালে করোনভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরে, সৌদি কর্তৃপক্ষ মাত্র এক হাজার তীর্থযাত্রীকে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।
পরের বছর, তারা লটারির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ৬০ হাজার স্থানীয় ও বিদেশি নাগরিকদের হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।
এ বছর জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য হজ ৬৫ বছরের কম বয়সী হজযাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, শনিবারের ঘোষণায় বলা হয়েছে।
সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের ভ্রমণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষিত পিসিআর কোভিড নেগেটিভ ফলাফল জমা দিতে হবে।
বিধিনিষেধ শিথিল
হজ কয়েকটি ধর্মীয় আচারের সমন্বয়ে গঠিত, যা ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা এবং পশ্চিম সৌদি আরবের আশেপাশের এলাকায় পাঁচ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
২০২০ ও ২০২১ সালের নিষেধাজ্ঞা বিদেশি মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৭ লাখ ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মার্চের শুরুতে দেশটি ঘরের বাইরে সামাজিক দূরত্ব এবং টিকাপ্রাপ্ত বহিরাগতদের জন্য কোয়ারাইন্টিনসহ বেশির ভাগ কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এই পদক্ষেপ মুসলিম তীর্থযাত্রীদের আগমনকে সহজতর করবে বলে আশা করা হয়েছিল।