অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বন্দুকধারীরা ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ১৫ জন নাইজেরিয়ান সেনাকে হত্যা করেছে—সূত্র বলেছে


নাইজেরিয়ার কাদুনা প্রদেশ।
নাইজেরিয়ার কাদুনা প্রদেশ।

না্‌ইজেরিয়ার উত্তরের কাদুনা প্রদেশের একটি সেনা ঘাঁটিতে বন্দুকধারীরা আক্রমণ করে ১৫ জন নাইজেরিয়ান সেনাকে হত্যা এবং আরও অন্তত এক ডজন সেনাকে আহত করেছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুটি সামরিক উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটা ছিল সশস্ত্র দলগুলোর সর্বশেষ আক্রমণ।

সরকার কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত দলগুলো নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের গ্রাম, শহর ও স্কুলগুলোতে আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি শতাধিক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ভীতি ছড়িয়েছে।

কাদুনার বিরিনিন গোয়ারি শহরের সামরিক ঘাঁটির একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা হামলার সময় মোটরবাইকে থাকা অস্ত্রধারীরা রকেটচালিত গ্রেনেড এবং অন্য ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে।

এ হামলার সময় ১১ জন সেনা প্রাণ হারায় এবং আহত ১৯ জনকে কাদুনার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চারজন আহত সেনা মৃত্যুবরণ করে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

“আমি জানি, আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তারা সাধারণ কোনো দস্যু নয়। দস্যুরা আমাদের ঘাঁটি থেকে অনেক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গেছে”, বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। কারণ তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুমোদিত নন।

মঙ্গলবার একজন সামরিক মুখপাত্রের মোবাইলে অনেকবার ফোন করে এবং খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

বিরিনিন গোয়ারির সীমান্ত জামফারা প্রদেশ এবং নাইজারের সীমান্তে মিলিত হয়েছে। এলাকাটি সশস্ত্র অস্ত্রধারীদের হট স্পট হিসেবে পরিচিত।

কাদুনা ঘাঁটির অপর এক সেনা জানায়, হামলার সময় তিনটি সামরিক যান ধ্বংস হয় এবং অস্ত্রাগার থেকে অনেক অস্ত্র খোয়া যায়।

কাদুনা ঘাঁটি থেকে আবুজার সেনা সদর দপ্তরে পাঠানো এক পরিস্থিতি প্রতিবেদন রয়টার্স দেখেছিল, তাতে বলা হয়েছে পরিস্থিতি “শান্ত কিন্তু খুবই অনিশ্চিত”।

নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীকে দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ইসলামী বিদ্রোহীদের পাশাপাশি উত্তর–পশ্চিমে সশস্ত্র গ্যাংদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ প্রসারিত করতে হয়েছে।

XS
SM
MD
LG