বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য চাপ দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নেটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রাশিয়ার আক্রমণের আরও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে ব্রাসেলসে সমবেত হয়েছেন।
ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি তার সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, রাশিয়ান জ্বালানি আমদানিতে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনের জনগণের কল্যাণের চেয়ে কীভাবে ইউরোপের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বেশি উদ্বিগ্ন।
মঙ্গলবার জেলেন্সকি রাশিয়াকে থামানোর ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অভিযুক্ত করেন এবং ইউক্রেনে সংঘটিত অপরাধের জন্য
মস্কোকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিয়েভের শহরতলী বুচা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কয়েকদিন পরই তিনি বক্তব্য রাখছিলেন । বুচার বাসিন্দা ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহর দখলের সময় রাশিয়ান সেনাদের হাতে প্রায় ৩শ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। মস্কো এ ধরনের কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে এবং এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনের ‘উগ্রপন্থীদের’-কে দায়ী করেছে।
জেলেন্সকি জিজ্ঞেস করেন, “আপনারা কি জাতিসংঘ বন্ধ করে দিতে প্রস্তুত? আপনারা কি মনে করেন যে আন্তর্জাতিক আইন উঠে গেছে? যদি আপনাদের উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে আপনাদের অবিলম্বে কাজ করতে হবে। অবিলম্বে জাতিসংঘের সনদ পুনরুদ্ধার করতে
জাতিসংঘ ১২১টিরও বেশি শিশুসহ কমপক্ষে ১৪৮০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি। এ সংঘাতে ৬ সপ্তাহেরও কম সময়ে ১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।তাদের মধ্যে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ এখন উদ্বাস্তু।
[ভয়েস অফ আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংবাদদাতা জেফ সেলদিন ও হোয়াইট হাউসের ব্যুরো চিফ প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি,রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।]