অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গঠনের তিন মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করলো কুয়েত সরকার


২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সিটিতে আইন প্রণেতারা কুয়েতের জাতীয় পরিষদের একটি অধিবেশনে যোগ দেন। ফাইল ছবি।
২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সিটিতে আইন প্রণেতারা কুয়েতের জাতীয় পরিষদের একটি অধিবেশনে যোগ দেন। ফাইল ছবি।

শপথ নেয়ার ৩ মাস পর সংসদের সাথে বাড়তে থাকা বিরোধের মধ্যেই মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছে কুয়েত সরকার। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সংবাদ জানায়।

সরকারি বার্তা সংস্থা কুনা জানায়, প্রধানমন্ত্রী সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে।

অসহযোগের একটি চিঠির ওপর সংসদীয় ভোট অনুষ্ঠিত হবার একদিন আগে এ পদক্ষেপটি নেয়া হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিসহ “অসাংবিধানিক” কাজের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ১০ জন আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে এ চিঠি দাখিল করেন।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন আল-সাবাহ পরিবার অধ্যুষিত সরকার ও আইন প্রণেতাদের মধ্যকার বিরোধে উত্তাল অবস্থায় রয়েছে তেলসমৃদ্ধ কুয়েত। সংসদ ও মন্ত্রিসভা কয়েকবার ভেঙে দেয়া হয়েছে।

কুয়েত হলো একমাত্র উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র যেখানে সম্পূর্ণ নির্বাচিত সংসদ রয়েছে। দেশটির সংসদে ব্যাপক আইন প্রণয়ন ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রীদের ভোটের মাধ্যমে বাদ দেয়া যায়।

ফেব্রুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের সংসদীয় প্রশ্ন করার পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেন।

রাজ পরিবারের সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাসের আল-সাবাহকে সংসদ দুর্নীতি ও সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে প্রশ্ন করেছিল।

১৬ ফেব্রুয়ারির একটি অনাস্থা ভোটে শেখ আহমেদ বেঁচে যান। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হামাদ জাবের আল-আলি আল-সাবাহ বলেছেন যে, এসব দীর্ঘ জেরা হলো ক্ষমতার “অপব্যবহার”।

রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে নভেম্বরে পূর্ববর্তী সরকার পদত্যাগ করার পর ডিসেম্বরে দেশটির শেষ সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে চতুর্থবারের মতো কোনো সরকার শপথ গ্রহণ করে।

XS
SM
MD
LG