কিয়েভের উপকন্ঠে বুকা শহরতলি। এই শহরতলির সড়কে আবর্জনার মতো পড়ে আছে মরদেহ। রাশিয়ার সৈন্যদের এমন কাণ্ডে, তীব্র সমালোচনা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি অভিযোগ করেন ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের মতো কাজ করছে, আজ বিশ্ব যার আলামত দেখতে পাচ্ছে।
ব্লিংকেন বলেন, ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধকে যুক্তরাষ্ট্র “কঠোরভাবে দেখবে”। যদিও ইউক্রেন দাবি করছে যে দেশটির সৈন্যরা উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চল তাদের দখলে নিয়েছে।
এদিকে, কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী দক্ষিণ-ইউক্রেনের শহরগুলোতে এবং পূর্ঞ্চলীয় দোনবাস এলাকায় নতুন করে হমলার জন্যে রাশিয়া তার সৈন্যদের কিয়েভ এলাকা থেকে সেখানে সরিয়ে নিচ্ছে।
সড়কে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে, এর প্রতিক্রিয়ায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সিবিএস'র "ফেস দ্য নেশন" অনুষ্ঠানে বলেন, " এটা প্রকৃত অর্থেই গণহত্যা”। তিনি বলেন, “রুশ সেনারা ইউক্রেনকে ধ্বংস করেছে,নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে।”
ন্যাটোর মহাসচিব জ্যঁ স্টলটেনবার্গ সিএনএন-কে বলেন, “এটি জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা, যা আমরা কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে দেখিনি।”
ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার কথা ভাবছে।
এদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, কিয়েভের আশেপাশে ৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি উল্লেখ করেছেন, রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ ও এর আশপাশে রেখে গেছে তাদের ধ্বংসলীলার চিহ্ন। এই এলাকায় তারা মাটিতে, ঘর-বাড়িতে, এমনকি মরদেহেও মাইন স্থাপন করে রেখে গেছে।