রাশিয়া তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে শনিবার দেশটি জানায়।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস অঞ্চলে নতুন করে মনোনিবেশ করার যে কথা ক্রেমলিন জানিয়েছিল, সেটির প্রস্তুতি হিসেবে রাশিয়া তার বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে যে, “কিয়েভের আশপাশে ৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম পুনর্দখল” করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সতর্ক করে বলেছেন যে, কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকাগুলোকে “পুরোপুরি বিপর্যস্ত” অবস্থায় রেখে গিয়েছে রাশিয়া, ঐসব এলাকার ভূমি, বাড়িঘর ও সরঞ্জামে মাইন পেতে রেখে গেছে তারা। প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি দাবি করেন যে সেখানে মৃতদেহগুলোতেও মাইন পেতে রেখে গেছে তারা।
শনিবার তার সান্ধ্যকালীন বক্তব্যে জেলেন্সকি বলেন, “আমাদের এমন ফাঁপা আশা করা উচিৎ নয় যে” রুশরা “এমনিই আমাদের ভূখন্ড ছেড়ে চলে যাবে।” তিনি বলেন যে, শান্তি একমাত্র “কঠিন যুদ্ধ”, “আলাপ-আলোচনা” এবং “প্রাত্যহিক কঠোর কাজের” মধ্য দিয়েই অর্জন করা সম্ভব।
তবে ইউক্রেনের প্রধান আলোচক ইঙ্গিত করেছেন যে, জেলেন্সকি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলোচনা সম্ভব হতেও পারে। এর আগে গত সপ্তাহে “ইস্তানবুলে সামনা-সামনি আলোচনার সময়ে একটি খসড়া প্রস্তাবের অধিকাংশের সাথেই মস্কোর আলোচকরা অনানুষ্ঠানিকভাবে একমত পোষণ করেন” বলে, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।
অন্যদিকে, পোপ ফ্রান্সিস শনিবার মাল্টায় এক বক্তব্য প্রদানের সময়ে, ইউক্রেন বা পুতিনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম যে অন্যদেশে আক্রমণ, রাস্তায় রাস্তায় বর্বর যুদ্ধ এবং পারমাণবিক হামলার হুমকিগুলো দূর অতীতের অন্ধকার স্মৃতি।” পোপ আরও বলেন, “তবে, যুদ্ধের হিমশীতল হাওয়া, যা শুধু মৃত্যু, ধ্বংস ও বিদ্বেষ বয়ে আনে, সেটি অনেক মানুষের জীবনেই ভীষণভাবে বয়ে চলেছে এবং আমাদের সকলকেই প্রভাবিত করেছে।”