বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বলেছে, তারা লক্ষ লক্ষ আফগানকে সহায়তার জন্য রেকর্ড পরিমান ৪৪০ কোটি ডলারের জন্য আবেদন জানাচ্ছে । আফগানদের খাদ্য,আশ্রয়,চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বড় ধরণের অর্থের আবেদন।
২ কোটি ৪০ লাখের বেশি আফগানের অর্থাৎ জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। আফগানিস্তানকে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটাপন্নদের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রধান ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথস কয়েকদিন ধরে কাবুলে রয়েছেন।তিনি বলেন কোটি কোটি মানুষের জীবন যেন একটি সরু সুতোয় ঝুলে আছে। তিনি বলেন, সেখানে যাওয়ার পরপরই তিনি একটি শিশু হাসপাতালে যান এবং যা দেখেন তাতে তিনি প্রচন্ড ভাবে শিহরিত হন।
আগস্টে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনীতির ক্রমাগত পতন ঘটছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে আছে। ফলে সরকারি পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। যাদের কাজের সুযোগ নেই তারা বেঁচে থাকার জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।এর ফলে ঋণ বেড়েছে।
এছাড়াও আফগানিস্তান ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট খরায় ভুগছে।
বৃহস্পতিবারের অঙ্গীকার সম্মেলনের সহ-আমন্ত্রক হলো কাতার। এছাড়া কাতার আফগানিস্তানের জনগণের রাজনৈতিক ও মানবিক বিষয়ের দীর্ঘকালীন সহায়ক।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা দাতাদের নিকট তালিবানের সাথে তাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে পাশ কাটানোর আহ্বান জানান। তারা বলেন, অঙ্গীকার সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো জীবন বাঁচানো এবং ভবিষ্যতের জন্য আফগানদের আশার আলো দেখানো।