অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো মালির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে


ইকোওয়াস রাষ্ট্রের প্রধান এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা শুক্রবার ঘানার রাজধানী আক্রাতে পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের সময় একটি পারিবারিক ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। ২৫শে মার্চ, ২০২২।
ইকোওয়াস রাষ্ট্রের প্রধান এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা শুক্রবার ঘানার রাজধানী আক্রাতে পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের সময় একটি পারিবারিক ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। ২৫শে মার্চ, ২০২২।

আক্রা, ঘানা — পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট শুক্রবার (২৫ মার্চ) বলেছে যে, তারা সাহেল দেশটির সামরিক শাসকদের অভ্যুত্থানের পরে বেসামরিক শাসনে ফিরে যেতে বিলম্ব হওয়ায় মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।

ঘানায় একটি শীর্ষ সম্মেলনের শেষে, পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক জোটও সম্প্রতি গিনি ও বুরকিনা ফাসোতে ক্ষমতা দখলকারী জান্তাদের সতর্ক করেছে।

ইসিওডব্লিউএএস (ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস। পশ্চিম আফ্রিকার ১৬টি রাষ্ট্র নিয়ে ১৯৭৫ সালে এই জোট গঠিত। ২০০০ সালে মৌরিতানিয়া এই জোট ত্যাগ করে) বলেছে যে, গিনির সামরিক নেতাদের এপ্রিলের শেষের মধ্যে “পরিবর্তনের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য সময়সূচি” প্রদান করা উচিত, নতুবা এটি সরকার ও ন্যাশনাল ট্রানজিশন কাউন্সিলের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জোটটি একটি বিবৃতিতে যোগ করেছে যে, যদি বুরকিনা ফাসোর জান্তা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি না দেয় তবে “ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা”ও আরোপ করা হবে।

মালির ওপর জোটের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তিন মাস পর ঘানার রাজধানী আক্রাতে আলোচনা হয়েছে।

মালির জান্তার নেতা, আসিমি গোইতাকে শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, এএফপি ইসিওডব্লিউএএসের নথির বরাত দিয়ে বলেছে।

১৫ দেশের জোটটি মালির সামরিক বাহিনীকে চাপ দিচ্ছে। তারা ২০২০ সালে ক্ষমতা দখল করে এবং ১২-১৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলেছিল।

কিন্তু শক্তিমান গোইতা এখন পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপকে অস্বীকার করছেন।

২০২০ সাল থেকে চারটি অভ্যুত্থান

বৃহস্পতিবার পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক ও আর্থিক ইউনিয়নের (ওয়েস্ট আফ্রিকান ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়ন—ইউইএমওএ) আদালত মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।

মালির জান্তা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে চ্যালেঞ্জ করার অঙ্গীকার করেছে।

২১ মিলিয়ন জনসংখ্যার বিরাট দেশ মালির বেশির ভাগ অংশ জিহাদি সংঘাতে জর্জরিত। ২০১২ সালে প্রথম জিহাদিদের অভ্যুত্থান হয় এবং প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে ছড়িয়ে পড়ে।

গোইতা ২০২০ সালের অগাস্টে মালিতে ক্ষমতা দখল করেন। পরে বেসামরিক ব্যক্তিদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসে, তিনি দ্বিতীয় একটি অভ্যুত্থানে সেই বেসামরিক নেতাদের পদচ্যুত করেছিলেন। পরে তিনি অন্তর্বর্তীকালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গিনিতে কর্নেল মামাদি ডুমবুইয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। তিনি বিতর্কিত তৃতীয় মেয়াদের শাসনভার চেয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের উসকানি দিয়েছিলেন।

বুরকিনা ফাসোর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পল-হেনরি সান্দাওগো দামিবা জিহাদি সংঘাতের মধ্যে দুই দিনের সেনা বিদ্রোহের পরে জানুয়ারিতে কাবোরেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।

XS
SM
MD
LG