ইরানের পারমাণবিক অগ্রগতি সীমিত করার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের চুক্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা সংক্রান্ত আমেরিকার আশাবাদ এখন ব্যর্থতার মুখে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তর এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তেহরান রাজি না হলে তারা ‘প্ল্যান বি’-এর পথে ধাবিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা ভেবেছিলেন রোববার পারস্যের নববর্ষ নওরোজ উদযাপনের পর তেহরান একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে।
কিন্তু পরের দিনই হঠাৎ সেই সুর বদলে গেল।
সোমবার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, চুক্তিটি আসন্ন কিংবা নিশ্চিত কোনটাই নয়।“
আলোচনার অচলাবস্থায় পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করে মঙ্গলবার প্রাইস বলেন, যদি চুক্তিতে পৌঁছানো না যায় এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কথিত পরিকল্পনা না থামে তবে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের ৩ মাস পর গত এপ্রিলে ২০১৫-র চুক্তিটি পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু করেন। জেসিপিওএ-এর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের বিনিময়ে তিনি শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তেহরান দুটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করছে বলে মনে করা হয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র যদি আবার চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিছু সুরক্ষার নিশ্চয়তা , এবং শক্তিশালী ইসালামিক রেভুল্যুশনারি গার্ড কোর(আইআরজিসি)-এর ওপর থেকে সরকারী ভাবে ওয়াশিংটন আরোপিত “বিদেশি সন্ত্রাসী সংস্থা” পদবীর অপসারণ।
প্রাইস বলেন, “ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে জেসিপিওএ-এর সীমায় ফিরিয়ে আনতে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।“ তবে বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি এই বলে সতর্ক করেন যে, যদি কোনো চুক্তি না হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী করণীয় নিয়ে ওয়াশিংটন মিত্রদের সাথে আলোচনা করছে।