সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে বায়োপিক। এছাড়াও আরো তিনটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে, যেসবে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়কালকে তলে ধরা হয়েছে। বঙ্গন্ধুর বায়োপিক “বঙ্গবন্ধু”তে মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, “চিরঞ্জীব মুজিব” নামে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, “টুঙ্গিপাড়ার মিয়াঁভাই” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শান্ত খান ও ফেরদৌস অভিনয় করেছেন “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি” চলচ্চিত্রে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি ও "টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি।
আহমেদ রুবেল
জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' অবলম্বনে নির্মিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা নিবেদিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'চিরঞ্জীব মুজিব।' বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ৩১ ডিসেম্বর। ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। এছাড়াও বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণুর চরিত্র রূপায়ন করেছেন পূর্ণিমা এবং বঙ্গবন্ধুর বাবার চরিত্রে খায়রুল আলম সবুজ ও মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। ছবিটির সৃজনশীল পরিচালক জুয়েল মাহমুদ।
চলচ্চিত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করা হবে বলে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় অভিনেতা আহমেদ রুবেলের সঙ্গে।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে আহমেদ রুবেল বলেন, "বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করাটা খুব একটা সহজ নয়। অজানা, অচেনা চরিত্রে সহজেই অভিনয় করা যায়, কিন্তু বঙ্গবন্ধু এমন একজন্য ব্যক্তি যাকে সবাই চেনে, যার প্রতিটি ভঙ্গিমা সকলের মুখস্থ। যার ফলে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে আমি টেনশনে পড়ে যাই। ভালো যেমন লেগেছিল, কিছুটা ভীতিও ছিল। তারপরেও ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর এই সময়কালটা যেহেতু এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন দেখানো হয়েছে সেহেতু কিছুটা সাহস পেয়েছি। কেননা এমন চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেকের নিকট স্বপ্নের মতো। আমি খুবই আনন্দিত যে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজিন মহান নেতার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি।"
দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আহমেদ রুবেল বলেন, "চিরঞ্জীব মুজিব চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে ঢাকার বাইরে, বগুড়ায়। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। সাধারণ দর্শকেরা ছবিটি দেখছে মন্তব্য করছে। বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এছাড়াও ঢাকায় সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি দেওয়া না হলেও বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী হয়েছে। মন্ত্রী থেকে সংসদ সদস্য বা যারাই দেখেছেন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন- এটা আমার কাছে ছিল আনন্দদায়ক।’’
আরিফিন শুভ
এই চলচ্চিত্রটি মূলত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। বলিউডের শ্যাম বেনেগাল ছবিটি পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা আরিফিন শুভ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের দাদাসাহেব ফিল্ম সিটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সিনেমার ৮০ ভাগ দৃশ্যধারণ করা হয়। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ অংশের শুটিং সম্পন্ন হয়। তেজগাঁওয়ের পুরানো বিমানবন্দরসহ ঢাকার বেশকিছু এলাকায় এবং গোপালগঞ্জে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও মুক্তি পাচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বা শুটিং বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে নিষেধ রয়েছে বলে জানালেন শুভ। তবে এই চরিত্র অভিনয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকাকে শুভ বলেন, "কোনো আপনজন যদি চিরতরে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে সেটা বিশ্বাস করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ঠিক এমনই, আমি যে বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছি, আজ থেকে দেড় বছর আগে শুটিং শুরু হয়েছিল, কিছুদিন আগে শুটিং শেষ করলাম- এখন ও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি সেই চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলেও সেই উত্তর পেতে কষ্ট হয়।"
শুভ আরো বলেন, "এমন নয় যে আমি আরিফিন শুভ বলেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। আমার পাঁচবার অডিশন নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তিনবার, ভারতে দুইবার। প্রতিবারই আমাকে ডাকা হয়েছিল অডিশন নেওয়া হয়েছিল তারপরেও বলা হয়েছিল তোমাকে আমাকে জানাবো। প্রতিবারই আমাকে একই কথা বলা হতো। চূড়ান্ত ভাবে যখন জানানো হলো, তুমিই বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছ- সে মুহূর্ত আমার বর্ণনা করার ভাষা নেই।’’
শান্ত খান
মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব ও কিশোরকাল এই চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ২০ বছর বয়সী শান্ত খান। এই চলচ্চিত্রে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি। ২০২০ সালে এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়। ২০২১ সালে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও মাধ্যমিক পর্যায়ে ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমাটি প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ভয়েস অফ আমেরিকাকে শান্ত খান বলেন, ‘‘আমার জীবনে সবচেয়ে বড়প্রাপ্তি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা। আমি আমার এই ২০ বছরের জীবনে যা পেয়েছি তা হয়তো আর কখনোই পাবো না, এটা আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতির বিষয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর মতো ব্যক্তি কিংবা এমন মহান নেতার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ কজন পায়? আমি যখন পেয়েছি, তখন আমার মধ্যে ভয় কাজ করেছে, মনে হয়েছে মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে কি না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। এই চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। শুটিংয়ের সময় বারবার নানারকম ভয়ভীতি এসে উপস্থিত হয়েছে, হয়তো একাধিকবার শট দিতে হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ হয়েছে এবং মানুষ দেখেছে বা দেখবে। ’’
আরেকটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন শান্ত। বললেন, ‘‘ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা দেখেছেন। তারা আমাকে চেনেন না। আব্বু (সেলিম খান) যেহেতু ছবিটির প্রযোজক তাই আব্বুকে সেন্সর বোর্ড থেকে ডাকা হলো, জিজ্ঞেস করা হলো যে ছেলেটি কে? আব্বু তখন বললেন, যে আমার ছেলে। তারা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে আমি আব্বুর ছেলে, তারা ধরেই নিয়েছিলেন আব্বু মজা করছে। আব্বু তখনই আমাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন বিষয়টি।’’
শামীম আহমেদ রনীর চিত্রনাট্যে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ছিলেন সেলিম খান।
ফেরদৌস
এই চলচ্চিত্রে ফেরদৌস একজন থিয়েটারকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেই থিয়েটার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি নাটক বানাবে। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয় ফেরদৌসকে। ফেরদৌস এই চরিত্র নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। একসময় নানা পড়াশোনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। নিজে এক সময় অনুভব করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে। সেই নাটক মঞ্চস্থ হয়, দর্শকেরা মঞ্চে দেখতে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ফেরদৌস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ‘‘এটি একটি ভিন্নধারার গল্প। থিয়েটার নিয়ে গল্প। সেই থিয়েটারের নাটকে আমি বঙ্গবন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হই। বলা যায় এটি একটি নিরীক্ষণধর্মী কাজ, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হয় কঠিন ও মুক্তির ত্রাতা হিসেবে। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাজ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হিসেবে মঞ্চে সকলের সামনে আসা সবকিছুই আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল।’’
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি পরিচালনা করেছেন এখলাস আবেদীন। ২০২০ সালে শুটিং সম্পন্ন হয়েছে চলচ্চিত্রটির। এ বছরেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দিব্য জ্যোতি
শ্যাম বেনেগল পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোর বয়সের বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে গিয়ে শুটিং শেষ করে এসেছেন দিব্য।
বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দিব্য ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "মুম্বাইয়ে টানা ২২ দিন শুটিং করেছি। বলতে গেলে এই শুটিং হয়েছে একেবারে গাণিতিক নিয়মে। ভোর ৬ টায় কল টাইম থাকতো। ৫ টায় ঘুম থেকে উঠতাম, ৫ টা ৩৫ মিনিটে হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতো। ঠিক টাইমে হোটেলের সামনে চলে যেতাম। পনের মিনিট আগে শুটিং স্পটে গাড়ি পৌঁছতো। ছবির শুটিং করতে গিয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর অনেক কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। সবাই আমাকে মুজিব বলেই ডাকতো। বলতো, 'মুজিব ইধার আও' 'মুজিব রেডি' এমন ডাক শুনতে শুনতো মনে হতো না আমি দিব্য। এই ২২ দিন আমার জীবনের এমন দিন ছিল যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।"
বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে দিব্য বলেন, "ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি, পড়েছি। ঢাকায় দুইবার অডিশন দেবার পরে অনলাইনে শ্যাম বেনেগল সাহেব আমার অডিশন নেওয়ার পরে যখন বললেন, 'ডু ইট।' আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছি। ফাইনালি মুম্বাইয়ে গেলাম, খুবই চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।"
দিব্য জ্যোতি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোর বয়সের বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর পুর্ণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।
সৌম্য জ্যোতি
দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি দুই জমজ ভাই। দুজনই ঢাকার নর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। এক ভাই দিব্য বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে গেছেন। এদিকে সৌম্যের ভাগ্যেও ধরা দেয় একই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মুশফিকুর রহমান গুলজার নির্মাণ করছেন ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’। মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে সরকারি অনুদান পাওয়া এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয় সৌম্য জ্যোতিকে। এই ছবিটি মূলত বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে।
বিষয়টি সৌম্যের জন্য অবাক করার মতোই ছিল। সৌম্য জ্যোতি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমি ও আমার পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে ছোটবেলা থেকেই নানা বইপত্র পড়েছি, জেনেছি। গত বছর আমাকে যখন বলা হয় বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। আমি অবাক হয়েছি। কারণ যে মানুষটার গল্প আমার কাছে গল্পের মতোই মনে হতো তার চরিত্রে আমাকে অভিনয় করতে হবে তখন বিস্মিত না হয়ে পারিনা।, পরে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো জানার জন্য বিস্তর পড়াশোনা করেছি, আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি।"
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সৌম্য বলেন, "আমাদের শুটিং শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ায়। ওই সময় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অনুভব করতে থাকি যে আমিই ছোটবেলার বঙ্গবন্ধু যার ফলে ভয় কেটে যায়। সুন্দরভাবে শুটিং শেষ হয়। এখন চারদিনের শুটিং বাকি রয়েছে। একদিনের শুটিং হবে মানিকগঞ্জে, আর বাকি তিন দিনের শুটিং হবে কলকাতায়। ভিসা জটিলতায় কলকাতার শুটিং পিছিয়ে গেছে। শিগগির বাকি শুটিং শুরু হবে।"