অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনীয়দের কেউ আশ্রয় দিলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেবে ব্রিটেন


দক্ষিণপূর্ব পোল্যান্ডের একটি রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছেন ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা। মার্চ ১২ ২০২২। (ছবি- এপি)
দক্ষিণপূর্ব পোল্যান্ডের একটি রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছেন ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা। মার্চ ১২ ২০২২। (ছবি- এপি)

রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইউক্রেন থেকে ব্রিটেনে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের যারা তাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেবেন তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইওরোপে সবচেয়ে দ্রুত-বর্ধমান উদ্বাস্তু সংকটের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনের জন্য যুক্তরাজ্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রবিবার (১৩ মার্চ) জানানো হয়, “ইউক্রেনের জন্য আশ্রয়” নামে নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তুদের ব্রিটেনে কোনো পরিবার–পরিজন না থাকলেও দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

শরণার্থীদের জন্য ন্যূনতম ছয় মাসের একটি ঘর বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলে আশ্রয়দানকারী পরিবারকে মাসে ৩৫০ পাউন্ড (৪৫৬ ডলার) প্রদান করবে ব্রিটিশ সরকার।

রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্রিটেন বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে শরণার্থী গ্রহণে বিলম্বের জন্য বরিস জনসনের সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই আগ্রাসনকে মস্কো একটি “বিশেষ অভিযান” বলে অভিহিত করে আসছে।

সকল প্রধান রাজনৈতিক দলের আইনপ্রণেতারা ব্রিটেনে আসার আগে ইউক্রেনীয়দের ভিসা এবং বায়োমেট্রিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকারের জোরাজুরির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন যে, যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসাদের সহায়তার চেয়ে এখানে আমলাতন্ত্রের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

নতুন পরিকল্পনার অধীনে, জনসাধারণ, দাতব্য সংস্থা, ব্যবসা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবাসনের বিষয়ে জানাতে পারবে বলে জানায় সরকার।

“যুক্তরাজ্য বিপদের সময়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ব্রিটিশ জনগণ যত তাড়াতাড়ি এবং যত বেশি সংখ্যক লোককে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া যায় সেটার প্রয়োজনীয়তা বোঝেন”, আবাসনমন্ত্রী মাইকেল গোভ এক বিবৃতিতে বলেছেন।

“আমি সারাদেশের জনগণকে জাতীয় এই প্রচেষ্টায় যোগ দিতে এবং আমাদের ইউক্রেনীয় বন্ধুদের সমর্থন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আমরা তাদের জন্য একটি নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি, যেটা তাদের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন”।

শরণার্থীদের জন্য যে কেউ ঘর বা বাড়ি দিতে পারে। কিন্তু সেটা যেন বাসস্থানের মান পূরণ করে এবং আশ্রয় প্রদানকারীর অপরাধের রেকর্ড পরীক্ষা করা হতে পারে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীর সংখ্যা চার মিলিয়নেরও বেশি হতে পারে, যা বর্তমান আনুমানিক সংখ্যা দুই মিলিয়নের প্রায় দ্বিগুণ।

XS
SM
MD
LG