ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সতর্ক করেছে যে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। তবে, তারা ইইউতে ইউক্রেনের সদস্যপদটি দ্রুততার সাথে অনুমোদন করার বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছে। প্যারিসের অদূরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জোটটি ইউক্রেনে সংঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইইউ এর সামরিক, জ্বালানী এবং খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা করে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো, ভার্সাই প্রাসাদে দুইদিনব্যাপী এই বৈঠকটির আয়োজন করেন। তিনি বলেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে কোন কিছুই বিবেচনার বাইরে নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে একটি পূর্বনির্ধারিত ফোনালাপের আগে তিনি বলেন যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ জোরদার করে বা কিয়েভ অবরুদ্ধ করে তাহলে কোন কিছুই আর নিষিদ্ধ থাকবে না।
তবে ইউক্রেনের ইইউ-তে যোগদানের বিষয়টি সমর্থন করলেও, ২৭ সদস্য বিশিষ্ট এই জোটটি জানায় যে তারা প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে করবে না। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সেটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন যে, এই দেশটির জন্য ইইউ এর “আরও বেশি করা উচিৎ”।
তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো বলেন যে, ইইউ তাদের সদস্যপদের যোগ্যতা ছুঁড়ে ফেলতে পারেনা বা মলডোভা এবং জর্জিয়ার মত অন্যান্য সদস্যপদ প্রার্থীদের কথা ভুলে যেতে পারে না।
সম্মেলনটির একটি মুখ্য বিবেচ্য বিষয় ছিল ইউরোপকে প্রতিরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জ্বালানী বিষয়ে শক্তিশালী ও স্বাধীন করে তোলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের দ্রুততম গতিতে বর্ধমান শরণার্থী সঙ্কটের পাশাপাশি, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণটি এমন আশঙ্কা বৃদ্ধি করেছে, যে সংঘাতটি মহাদেশটির অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। জোটটি রাশিয়ার উপর জ্বালানীর জন্য গুরুতরভাবে এবং ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের উপরই শস্য আমদানির জন্য নির্ভর করে।
এছাড়াও, ২০২৭ সালের মধ্যে কিভাবে রাশিয়ার উপর জ্বালানী নির্ভরতা থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসা যায়, সে বিষয়েও পরিকল্পনা করছে ইইউ। তারা তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং শিল্পকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করছে। এর মধ্যে সাইবার যুদ্ধের বিষয়টিও রয়েছে।