অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে নিবন্ধন ছাড়াও করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে—জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


ঢাকা মেডিকেল কলেজের টিকা কেন্দ্রে একজনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে। (ফাইল ফটো- রয়টার্স)
ঢাকা মেডিকেল কলেজের টিকা কেন্দ্রে একজনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে। (ফাইল ফটো- রয়টার্স)

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে তিন দিনব্যাপী টিকা কর্মসূচি চলাকালে যারা প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারেননি, তাদের চলমান টিকা কর্মসূচির স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। তারপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবেন। এটা রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও নিতে পারবেন, যদি কারও রেজিস্ট্রেশন না করা থাকে, তিনি কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।”

শাসসুল হক বলেন, “রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা বিশেষ করে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর, এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি এবং অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য এই টিকাদান কার্যক্রম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা বিশেষভাবেই এটার দিকে নজর দিই, ক্যাম্পেইন এবং ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য।”

তিনি বলেন, “গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা প্রথম ডোজের টিকা দিতে পেরেছি ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ মানুষকে এবং বুস্টার দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ মানুষকে। এই কয়েক দিনে প্রথম, দ্বিতীয ও তৃতীয ডোজ মিলে আমরা ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।”

করোনায় মৃত্যু ৮, শনাক্ত ৭৩২

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৭৩২ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫৩ জনে এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৮ জনে পৌঁছেছে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৮২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

XS
SM
MD
LG