রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বিষয়ে আলোচনা করতে, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের একটি জরুরী বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের জন্য, রবিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ পরিষদের এভাবে অধিবেশন আয়োজন বেশ বিরল ঘটনা। অধিবেশনটি সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে কূটনীতিকরা জানান।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটটি একটি পদ্ধতিগত বিষয়। ফলে, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র - এই পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কেউই তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না। কূটনীতিকরা জানান যে, প্রস্তাবটি পাশ হতে নয়টি ভোটের প্রয়োজন এবং সেটি পাশ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
১৯৫০ সাল থেকে সাধারণ পরিষদের এইরকম মাত্র ১০টি জরুরী বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। মস্কোর আক্রমণটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাবে রাশিয়া শুক্রবার ভেটো দিলে, ইউক্রেন বিষয়ে এই অধিবেশনের প্রস্তাবটি করা হয়। শুক্রবারের প্রস্তাবে চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভোট প্রদানে বিরত থাকে। অপরদিকে, অন্য ১১ সদস্য প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট প্রদান করে।
কূটনীতিকরা জানান যে, জরুরী বিশেষ অধিবেশনটিতে দেশগুলো কয়েকদিন ধরে বক্তব্য প্রদানের পর, একই রকমের একটি প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির আশা করা হচ্ছে। সাধারণ পরিষদে পাশকৃত প্রস্তাবগুলো বাধ্যতামূলক না হলেও সেগুলোর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা যথাসম্ভব বেশি সমর্থন যোগাড় করতে চেষ্টা করছে, যাতে করে এটা দেখানো যায় যে রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে আলাপ করেছেন। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানান যে, গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন যে জাতিসংঘ “ইউক্রেনের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির” পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের সহায়তা কর্মসূচির প্রধান, মার্টিন গ্রিফিথস শুক্রবার বলেন যে, আগামী তিন মাসে ইউক্রেনে সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করতে ১০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। রাশিয়া তার প্রতিবেশী এই দেশটি আক্রমণের পর থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।