শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-র প্রসিকিউটর করিম খান ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন,তার আদালত ইউক্রেনের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে পারে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন "অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে আমি ইউক্রেন ও এর আশেপাশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।"
তিনি আরও বলেন,"ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যারা সহিংসতা চালাচ্ছে তেমন সকল পক্ষকে আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, আমার দফতর (আইসিসি) ইউক্রেনে সংঘটিত যেকোনো গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করার এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে ।"
২০১৪ সালের মার্চে রাশিয়া ক্রাইমিয়া অধিগ্রহণের পর এবং পরবর্তীতে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহী ও ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধের পর, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য ইউক্রেন আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার করে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রসিকিউটরের অফিস ঘোষণা করে যে, পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতের সময় যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত বন্ধ থাকলেও একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ বিচারকদের কাছে এখনো দায়ের করা হয়নি।
তদন্ত শুরুর আগে বিচারকদের অবশ্যই একমত হতে হবে।
গত ডিসেম্বরে পরীক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার কোনো হালনাগাদ নেই বলে জানান করিম খান।
রাশিয়া আইসিসির সদস্য নয়।আইসিসির মামলার বিরোধিতাও করছে রাশিয়া।
যাইহোক, অভিযুক্ত অপরাধীদের জাতীয়তা নির্বিশেষে আদালত ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে।