মঙ্গলবার একজন রাশিয়ান দূত বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য একটি চুক্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা সমাপ্তির কাছাকাছি, এবং আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় শীঘ্রই আশা করা হচ্ছে।
মিখাইল উলিয়ানভ টুইটারে ২০১৫ সালের এই চুক্তির পুরো নাম, জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন ব্যবহার করে বলেছেন, "আপাতদৃষ্টিতে #JCPOA চুক্তিটি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা শেষ হতে চলেছে,"।
রয়টার্স গত সপ্তাহে রিপোর্ট করেছে যে তেহরান এবং বড় শক্তিগুলির মধ্যে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর ভিয়েনায় এই যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চুক্তি রূপ নিচ্ছে। যা .২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরিত্যাগ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছিলেন।
কূটনীতিকরা বলেছেন চুক্তির একটি খসড়া পাঠ্য কেবলমাত্র অন্যান্য বিষয়গুলির প্রতি অস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে। তারা আরও বলেন এর দ্বারা যা বোঝানো হয় তা হলো দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলিতে ইরানের জমানো কোটি কোটি ডলারের তহবিল উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং ইরানে আটক পশ্চিমা বন্দিদের মুক্তি দেয়া।
শনিবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অবিলম্বে বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত।
তেহরানে একজন শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছেন, "ইরান সবসময় এবং বারবার বন্দি বিনিময়ের জন্য তার প্রস্তুতি প্রকাশ করেছে। কয়েক মাস আগে আমরা এটি করতে প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু আমেরিকানরা চুক্তিটি নষ্ট করে দিয়েছিল।"
তিনি আরো বলেন, "এখন আমি বিশ্বাস করি তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হবে, হতে পারে তাদের মধ্যে পাঁচ বা ছয়জন। কিন্তু বন্দিদের বিষয়ে ওই আলোচনা পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি ইরানের একটি মানবিক পদক্ষেপ।"
যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যস্থতাকারী, রবার্ট ম্যালি পরামর্শ দিয়েছেন যে তেহরান, ইরানী-আমেরিকান পিতা ও পুত্র বাকের এবং সিয়ামক নামাজি সহ চার আমেরিকান নাগরিককে মুক্তি না দিলে পারমাণবিক চুক্তি সুরক্ষিত করা অসম্ভব। ওয়াশিংটন বলেছে যে তেহরান তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
ম্যালি মঙ্গলবার টুইট করেছেন, "ছয় বছর আগে ইরান সরকার বাকের নামাজিকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং তারা এখনও তাকে দেশ ছেড়ে যেতে দিতে অস্বীকার করছে,"। ইরান সরকার নামাজি, এমাদ শার্গী, মোরাদ তাহবাজ এবং অন্যায়ভাবে আটক যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশী নাগরিকদের অবশ্যই মুক্তি দিতে পারে।"
ব্রিটেন, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কারাগারে বন্দী ব্রিটিশ-ইরানি আনুশেহ আশুরি এবং টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজানিন জাঘারি-র্যার্টক্লিফের মুক্তি চেয়েছে, যিনি ধর্ম ভিত্তিক সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।