সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম বুরকিনা ফাসোতে একটি স্বর্ণ খনির এলাকার কাছে শক্তিশালী এক বিস্ফোরণে ৫৯জন নিহত এবং ১০০জনেরও বেশি আহত হয়েছে।দেশটির জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা এ সংবাদ জানায়।
দুর্ঘটনাস্থলে মজুত করা স্বর্ণের পরিশোধনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা ফরেস্ট রেঞ্জার সানসান কামবু ফোনে এপিকে বলেছেন, "আমি সর্বত্র মৃতদেহ দেখেছি। খুবই ভয়াবহ ঘটনা।"
তিনি জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি দুপুর ২টার দিকে ঘটেছিল, তারপরে আরও বিস্ফোরণ ঘটে আর লোকজন নিজেদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ। স্বর্ণ দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য। বুরকিনা ফাসোতে এ শিল্পে প্রায় ১৫লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় এবং ২০১৯ সালে দেশটিতে স্বর্ণ শিল্পের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
জিবম্বলোরার মতো ছোট সোনার খনির সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। সারা দেশে প্রায় ৮০০টি ছোট খনি আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, বেশিরভাগ সোনা প্রতিবেশী টোগো, বেনিন, নিজার এবং ঘানায় পাচার করা হচ্ছে।
২০১৬ থেকে বুরকিনা ফাসোতে হামলা চালিয়ে আসা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট দলের সাথে যুক্ত জিহাদিরা ছোট আকারের খনিগুলো ব্যবহার করে।
সুইস-ভিত্তিক চিন্তক গোষ্ঠী গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মার্সেনা হান্টার বলেছেন, "স্বর্ণ কারিগর ও ক্ষুদ্র-স্তরের খনির খাতের ওপর সীমিত নিয়ন্ত্রণ এবং এতে ব্যবহৃত বিস্ফোরকগুলো, যা প্রায়শই পাচার করে দেশে আনা হয় এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।"