অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হংকং’এ কোভিড সংক্রমণের বিস্তার; ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক শ্রেণী 


হংকংয়ে কোভিড মহামারীতে আক্রান্ত রোগীরা শয্যার স্বল্পতার জন্য হাসপাতালের বাইরে পার্কিং লটে অপেক্ষা করছেন, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২/রয়টার্স
হংকংয়ে কোভিড মহামারীতে আক্রান্ত রোগীরা শয্যার স্বল্পতার জন্য হাসপাতালের বাইরে পার্কিং লটে অপেক্ষা করছেন, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২/রয়টার্স

হংকং’এর কারিতাস মেডিকেল সেন্টারের প্রবেশ পথের ঠিক বাইরে হাসপাতাল বেডে নোংরা কম্বল জড়ানো ৯৮ বছর বয়সী ল্যাম ফুন অপেক্ষা করছেন কোভিড-১৯ এর প্রাথমিক ফলাফল শোনার প্রতীক্ষায়।

সার্জিকাল মাস্ক পরে ল্যাম, একই ধরণের মাস্ক পরা অন্য এক রোগীর পাশে বসে রয়টার্সকে জানান, "আমি তেমন ভালো বোধ করছি না"।

ল্যাম হচ্ছেন বৃহস্পতিবার কারিতাসের পার্কিং লটে অপেক্ষমান ডজনখানেক রোগীদের মধ্যে একজন। কাউলুন উপদ্বীপের শ্রমজীবি মানুষের চেউং শা ওয়ান ডিস্ট্রিক্টের ৪ লক্ষ লোকের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে কোন স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা পার্কিং লটেই অপেক্ষায় রয়েছেন। বৃষ্টিসহ তাপমাত্রা সেখানে ১৫ ডিগ্রীতে নেমে আসে।

চিকিৎসা কর্মীরা কতক্ষণ ল্যামকে অপেক্ষা করতে হবে তা জানাতে পারেন নি। যারা প্রাথমিক পরীক্ষা বা টেস্ট এ পজিটিভ বলে প্রমাণিত হবেন, চিকিৎসা শুরু করার আগে তাদের আরো কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে।

বিশ্বের নাম করা এই বানিজ্যিক কেন্দ্রস্থলের সবটুকু জুড়ে একই ধরণের দৃশ্য আজ চোখে পড়ে। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ চাপে তাদের জনসেবা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং যার কারণে সেখানকার হাসপাতালগুলোর ৯৫% শয্যায় রোগীতে পরিপূর্ণ।

একদা ব্যাপকভাবে কোভিড মহামারী থেকে সুরক্ষিত হংকং আজ শহরব্যাপী মহামারীর মুখোমুখি, যেখানে ব্যবসা ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেকেই সরকারের "জিরো কোভিড নীতির" ব্যাপারে তাদের ধৈর্য হারাচ্ছেন।

২৯ বছর বয়সী কারিতাসের এক চিকিৎসা কর্মী, ট্রেভর চ্যাং অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা,শয্যা ও চিকিৎসা সামগ্রীর স্বল্পতা এবং অব্যাহত কর্মীদের অভাবের জন্য সরকারকে অংশত দায়ী করেন। তিনি বলেন "সরকার পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করেনি"।

হংকং কর্তৃপক্ষ যারা ৭০ লক্ষ ৪০ হাজার লোককে সেবা প্রদান করছে, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের এই ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

হংকংয়ের নেতা কেরি ল্যাম, যার ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুন মাসের শেষে, মহামারীর প্রাদুর্ভাব তার জন্য অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি করেছে।

ল্যাম যেমনটি বলেছেন ভাইরাসের কাছে নতি স্বীকার কোন বিকল্প হতে পারে না এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা হংকংয়ে তার প্রধান মিশন তবে অনেকেই এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করছেন। সরকারি বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত কতিপয় ব্যবসার মালিকেরা বর্তমান নীতিমালার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

[রয়টার্স]

XS
SM
MD
LG