অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে ৪৫০০-এরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী 


মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে পুড়িয়ে দেয়া ঘরবাড়ী। ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২। (ছবি- এপি)
মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে পুড়িয়ে দেয়া ঘরবাড়ী। ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২। (ছবি- এপি)

মাত্র এক বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সেনারা বেসামরিক লোকজনের অন্তত ৪,৫৭১টি বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিল দেশটির বিপর্যস্ত সাগাইং অঞ্চলে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি গোষ্ঠী এ তথ্য জানায়।

একটি গবেষণা দল, ডেটা ফর মিয়ানমার এক রিপোর্টে বলেছে, সেনাবাহিনী সাগাইং রাজ্যে ২৫৬৭টি, চিন রাজ্যে ৯৭৬টি, ম্যাগওয়ে অঞ্চলে ৬২৬টি, কায়াহ রাজ্যে ৩১০টি এবং মান্দালয় অঞ্চল, দক্ষিণ শান রাজ্য, তানিনথারি অঞ্চল, বাগো অঞ্চল এবং কায়িন রাজ্যে আরও কয়েক ডজন বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ।

মঙ্গলবার নজরদারি গোষ্ঠী ফরটিফাই রাইটস জান্তার কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাধ্যতামূলক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করার জন্য আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আরএফএ-র মিয়ানমার বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলের সূত্রগুলো নিয়মিতভাবে সৈন্যরা বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা এবং অগ্নিসংযোগ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং এমনকি হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধের বর্ণনা দিয়েছে।

বাসিন্দারা বলেছেন যে জান্তা বাহিনী গণতন্ত্রকামী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স মিলিশিয়ার সদস্যদের আশ্রয়স্থল বলে মনে করা গ্রামগুলোতে অগ্নিসংযোগ করছে বলে মনে হচ্ছে।

মিয়ানমার কেন্দ্রিক চিন্তক গোষ্ঠী ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অং থু নাইন বলেছেন, পিডিএফ বাহিনীকে নির্মূল করার জন্য সামরিক বাহিনীর অভিযানে অগ্নিসংযোগ একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে এবং এটিকে তিনি "মাছ ধরার জন্য জল নিষ্কাশন" এর সাথে তুলনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, যে বাড়িগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হলো সেগুলো তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল। এমন ধ্বংসযজ্ঞ বেসামরিক লোকজনদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করবে এবং তাদেরকে কঠিন প্রতিরোধের দিকে ধাবিত করবে।

XS
SM
MD
LG