অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলাপ করবেন বাইডেন ও পুতিন


একজন সার্ভিসম্যান ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরের মারিউপোলের সামনে সীমান্ত ঘাঁটিতে হাঁটছেন৷১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২।
একজন সার্ভিসম্যান ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরের মারিউপোলের সামনে সীমান্ত ঘাঁটিতে হাঁটছেন৷১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণে প্রস্তুত, এমন শঙ্কায় উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলার পেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শনিবার টেলিফোনে আলাপ হওয়ার কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছে।

ওয়াশিংটন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেয়েছে যে, আক্রমণটি বুধবার নাগাদই শুরু হয়ে যেতে পারে।

কিয়েভে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ইতিমধ্যে তাদের কর্মীদের সেখান থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তর একটি সফর নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে মানুষজনকে “রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বর্ধিত হুমকির কারণে” ইউক্রেনে সফরে যেতে নিষেধ করে সতর্কতা জারির পাশাপাশি উপদেশ দেওয়া হয়েছে যে, “যারা ইউক্রেনে অবস্থান করছেন, তারা যাতে অবিলম্বে সেই দেশ ত্যাগ করেন”।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শনিবার বলেন যে, মস্কো ইউক্রেনে অবস্থিত তাদের কর্মী সংখ্যা “অনুকূল পর্যায়ে” নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে তারা “কিয়েভ সরকারের সম্ভাব্য উস্কানির” কথা উল্লেখ করেন।

জাখারোভা পদক্ষেপটির ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য বর্ণনা করেননি। তবে তিনি বলেন যে, ইউক্রেনে অবস্থিত দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো তাদের মুল দায়িত্বগুলো পালন করে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও শনিবার ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলে। জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসও তাদের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।

তবে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই নেতার মধ্যে আলাপের আগে, পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে আলাপ করবেন। তার সঙ্গে এই সপ্তাহের শুরুতে পুতিন সাক্ষাৎ করেছিলেন।

XS
SM
MD
LG